প্রতিবেদন : অমরনাথের বেস ক্যাম্পের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬। মৃতের তালিকায় বাংলার এক তরুণী আছেন। এখনও ৪০ জনেরও বেশি মানুষের খোঁজ মেলেনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ (Amarnath Rescue Operation)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই বালতালের কাছে বেস ক্যাম্পের উপর শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টির কারণে পার্বত্য এলাকায় নামে হড়পা বান। প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যায় প্রায় ২৫টি তাঁবু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
শুক্রবার প্রবল বৃষ্টি ও হড়পা বানের পর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরা একযোগে শুরু করে উদ্ধারকাজ। খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেশ কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল এই মুহূর্তে নিখোঁজ মানুষদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধারে (Amarnath Rescue Operation) সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর হেলিকপ্টারে করে শ্রীনগরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। নিখোঁজ পুণ্যার্থীদের মধ্যে বাংলারও কয়েকজন আছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জুবেরকে আইনি ফাঁসে জড়াতে মরিয়া বিজেপি
বেস ক্যাম্পে প্রাণে বেঁচে যাওয়া মহারাষ্ট্রের এক পুণ্যার্থী বলেছেন, শুক্রবার তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। প্রথমে মেঘ ভাঙা প্রবল বৃষ্টি এবং তারপরই হড়পা বান নেমে আসে। জলের তোড়ে বড় বড় পাথরগুলি শোলার মতো ভেসে আসতে শুরু করে। চোখের সামনেই মুহূর্তেই জলের স্রোতে ভেসে যায় একের পর এক তাঁবু। কীভাবে প্রাণে বেঁচেছেন তা তিনি নিজেও জানেন না। স্থানীয় এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেশকিছু মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আবহাওয়া খারাপ থাকার দরুণ আপাতত পায়ে হেঁটে অমরনাথ যাওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এখনও অমরনাথ গুহায় পৌঁছতে পারেননি তাঁদের বালতালের বেস ক্যাম্পেই থাকতে বলা হয়েছে।