নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, পার্টি অফিসে তালা, দল ছাড়ার হিড়িক

যতদিন যাচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। রাজ্য নেতারা মুখে কুলুপ আঁটলেও বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসছেই।

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : যতদিন যাচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। রাজ্য নেতারা মুখে কুলুপ আঁটলেও বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে আসছেই। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সময় দলের জলপাইগুড়িতে প্রাক্তন জেলা সম্পাদককে প্রকাশ্য রাস্তায় লাথি মেরে ফেলে দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এবার হলেও দলীয় দফতরে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি কর্মীরা। এবার ঘটনাস্থল গয়েরকাটা।

আরও পড়ুন-সোফার মধ্যে কোবরা, আতঙ্কে পরিবার

বিজেপির গয়েরকাটার মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে গয়েরকাটার বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি ও কর্মীরা। বুধবার গয়েরকাটায় বিজেপির দলীয় অফিসের দরজায় তালা মেরে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। সেই সঙ্গে দলের মাদারিহাট ৪ নং মন্ডলের মণ্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা। এই ঘটনা ফের আরও একবার বিজেপির চরম আভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিক্ষোভরত বিজেপির মাদারিহাট ৪নং মণ্ডলের যুব মোর্চার কর্মীদের অভিযোগ, মাদারিহাট ৪নং মণ্ডলের সভাপতি কৌশিক নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক রাহুল ওঁরাও স্বজনপোষণ করছে পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রেখে চলছে। যার প্রভাব দলের সংগঠনেও পড়ছে।

আরও পড়ুন-বারাণসীর আইআইটি-বিএইচইউর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, ছাত্রদের বিক্ষোভ

দলে মন্ডল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একনায়কতন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ যুব মোর্চা কমিটির ১৫ জন সদস্য তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও সধারণ সম্পাদক তাদের পদ থেকে ইস্তফা না দিলে দলীয় অফিসের তালা খুলতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং জানান, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। উন্নয়ন নয়, গোষ্ঠী কোন্দল, অশান্তিই হল বিজেপির মূলমন্ত্র। নিজেদের অস্ত্রেই বিনাস হবে বিজেপি। ওইদিন আর বেশি দূরে নেই।

Latest article