প্রতিবেদন : শ্রমমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলার বিভিন্ন প্রকল্প এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন কমিটির চেয়ারম্যান ভর্তৃহরি মেহতাব। এদিনের বৈঠকে আধিকারিকদের সামনে একশো দিনের কাজ এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা চালু করা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠকে তৃণমূলের প্রশ্ন ছিল মোদি সরকারের ৯ বছরে মনরেগা এবং কৃষির সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের রোজগার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের থেকেও কম।
আরও পড়ুন-সত্যাগ্রহের পথে কুস্তিগিররা, কড়া অবস্থান নিচ্ছে পুলিশও
তাঁদের পেনশন বা অন্যান্য সুযোগ- সুবিধা চালু করার কথা কেন ভাবেনি মোদি সরকার? বৈঠকে রাজ্যের প্রকল্পগুলির প্রশংসা করে চেয়ারম্যান, বিজেডির ভর্তৃহরি মেহতাব বলেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের মধ্যে এত জনপ্রিয়। বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসা করেছে ডিএমকেও। মনরেগার শ্রমিকরা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, মনরেগার শ্রমিকদের জন্য পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। মোট ৭০টি অসংগঠিত ক্ষেত্র রয়েছে। তার মধ্যে পরিবহণ এবং নির্মাণক্ষেত্র বাদ দিলে যে ৬৮টি প্রকল্প থাকে, সেই ক্ষেত্রগুলির জন্য বাংলায় রাজ্য সরকার নানান প্রকল্প চালু করেছে। ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অসংঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক মুক্তি প্রকল্প চালু করে রাজ্য। এই প্রকল্পে মোট ৫৫ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ জমা দেয় রাজ্য সরকার। শ্রমিককে কোনও টাকাই দিতে হয় না। এ ছাড়াও প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-‘থালা’র টানে স্টেশনেই রাত কাটল সমর্থকদের
জানা গিয়েছে বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করে, রাজ্যের মতো জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি যেন অন্য রাজ্যেও চালু করা হয় শ্রমিকদের সুবিধার্থে। তৃণমূলের তরফে অসংঠিত ক্ষেত্র এবং তার বাইরে থাকা শ্রমিকদের জন্য চালু করা প্রকল্প সম্পর্কে তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের তরফে রাজ্যে মনরেগার বকেয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এক মাস কাজ করলে পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বেতন মেটাতে হয় সেখানে কেন্দ্র কি নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করছে? প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন ভাতাতে দেওয়া টাকার অঙ্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। রাজ্যের প্রতিটি প্রকল্পেই ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়াও খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভাতা পেলেও খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য এত সুবিধা দিলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কেন এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের কথা মনোযোগ দিয়ে ভাবা হয়নি সে-প্রশ্ন তোলা হয় এদিনের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।