সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : পাচার-কাণ্ডে সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। এবার পাচারেই ব্যবহার হল খোদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি? বুধবার রাতে জলপাইগুড়ির ডাবগ্রামের ঘটনা। বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল কোটি টাকার কাঠবোঝাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি। ওই গাড়িতেই এক জওয়ানও ছিলেন বলে অভিযোগ। চেকপোস্টে প্রতিদিনের মতোই ছিলেন বন দফতরের কর্তব্যরত আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িটির গতি দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। টর্চ নিয়ে এগিয়ে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন-মহাষ্টমীর গভীর রাতে রক্ষাকালীর পুজো
প্রথমে তাঁদের গাড়ির ভিতরে তল্লাশি করতে বাধা দেন ও জওয়ানরা বলে অভিযোগ। কিন্তু বনকর্মীরা গাড়িতে তল্লাশি জারি রাখেন। এরপরই একে একে বেরিয়ে আসে মূল্যবান কাঠগুলি। গাড়িটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রেঞ্জে। রেঞ্জ অফিসার শ্যামপ্রসাদ চাকলাদার জানিয়েছেন, স্থানীয় শালুগাড়া থেকে কাঠগুলি বোঝায় করা হয়। আমবাড়ি হয়ে শ’মিলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। প্রায় কোটি টাকার কাঠ উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে গাড়িতে থাকা দুই সেনাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় আরও দু’জনের নাম বেরিয়ে আসে। ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। এরপর বাকি দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন-১৩ গোলে জয় মেয়েদের
জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কাঠবোঝাই গাড়ি আটক হয়েছে খবর পেয়েই রেঞ্জ অফিসে পৌঁছান। রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে ওই কাঠ সেনাবাহিনীর গাড়িতে তোলা হল? কারা পাচারের সঙ্গে যুক্ত এসব নিয়েই উঠেছে বড় প্রশ্ন। বন দফতরের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কেউ যুক্ত কি না জানার চেষ্টা চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ধৃত জওয়ানদের শর্তসাপেক্ষ জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তবে, রেঞ্জ অফিসার জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি আর্মির হেড কোয়ার্টারে জানানো হবে। এ নিয়ে উচ্চপদস্থ আলোচনাও হবে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের টাকায় পুরস্কার ঘোষণা রাজ্যপালের
পাশাপাশি রাজ্যের বন দফতরকে ঘটনার বিবরণ-সহ রিপোর্ট পাঠানো হবে। তবে এই ঘটনা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ফের আঙুল তুলে দিল। খবর চাউর হতেই নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্নের ঝড়। রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় বলে বিরোধী দলগুলি আসরে নেমেছে। পাচারের ঘটনায় উচ্চপদস্থ তদন্ত শুরু হয়েছে।