প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বুধবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা চত্বরে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ধরনায় বসেন নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়করা সকলেই কালো পোশাক পরে বিধানসভায় আসেন এদিন। তবে ধরনার শেষদিকে জাতীয় সংগীত চলার সময় আচমকা গদ্দার অধিকারী বিধানসভায় ঢুকে চূড়ান্ত অসভ্যতা- অভব্যতা করতে থাকে। সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচার পিছনে ফেলে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। পরে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, আমরা লিখিত অনুমতি নিয়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি করছি। যা ঘটল তা অভব্যতা ছাড়া আর কিছু নয়। নোংরামি- গুন্ডামি করেছে। আসলে বিজেপির ধর্মতলার সভা ফ্লপ হয়েছে। সেই জ্বালা থেকেই এই উন্মত্ত আচরণ করছে। আমি অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছি, বিধানসভায় অসভ্যতা করেছে, টিভি চ্যানেল-সহ বিভিন্ন ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলুন। এরপরই নেত্রীর হুংকার, আমাকে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ দেখিয়ে লাভ নেই। সারাজীবন লুঠ করেছে, আমাদের কেউ গদ্দারদের ভয় পায় না। কেউ কোনও কর্মসূচি নিলে আমরা কেউ বাধা দিই না। ভোটে পাত্তা পায়নি, গোহারা হেরেছে, তাই এসব করছে। ওদের কোনও অনুমতি ছিল না। আমাদের পরিষদীয় দল থেকে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে যা বলার বলবে। এরপরেই পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি চিফ হুইপ তাপস রায় ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অধ্যক্ষের ঘরে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান গদ্দারের বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষণ সেখানে বৈঠক চলে। উপস্থিত হন বিধানসভার সচিবও। এরই মাঝে বিধানসভায় আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তাঁর সঙ্গেও অধ্যক্ষ কথা বলেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁদের মূল কথা, বিধানসভার ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন। এই ঘটনা বিধানসভার গরিমা- ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করল। আমরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন। বিকেল পাঁচটা বাজার পরেই দিনের মতো ধরনা তুলে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- দণ্ডসংহিতা: বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে বিল পাশে মরিয়া কেন্দ্র