বিভীষিকার অধ্যায় পেরিয়ে ঘরে ফিরতে আকুল ওঁরা

Must read

প্রতিবেদন : উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Rescue) সিল্কিয়ারা টানেলে ১৭ দিনের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসার পর তিন বঙ্গসন্তানকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে তৎপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার তিন শ্রমিকের সুবিধার্থে উত্তরকাশী এবং হৃষীকেশে জোড়া টিম পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। সিল্কিয়ারাতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধসে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিদের মধ্যে রাজ্যের তিনজন শ্রমিককে উদ্ধারের (Uttarkashi Tunnel Rescue) পরে নিরাপদে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দিতে দিল্লির রেসিডেন্ট কমিশনারের দফতরের জনসংযোগ আধিকারিক রাজদীপ দত্তও আছেন এই দলে। উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে হুগলির পুরশুড়ার সৌভিক পাখিরা, জয়দেব প্রামাণিক এবং কোচবিহারের মানিক তালুকদার রয়েছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা হৃষীকেশের এইমসে চিকিৎসাধীন আছেন। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা তাঁদের কথা বলিয়ে দিয়েছেন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ২৪ ঘন্টা এইমসে পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাঁদের ছাড়া হবে। তিনজনকেই ঘরে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে বাংলার সরকার। মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাংলার আধিকারিকরা। উত্তরকাশী পৌঁছেই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের একটি দল গিয়েছিলেন সুড়ঙ্গ এলাকায়।
টানা ১৭ দিন উত্তরকাশীর টানেলে আটকে থাকার পর খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বাংলার শ্রমিক সৌভিক পাখিরা প্রথমেই টেলিফোনে কথা বলেন মায়ের সঙ্গে। ছেলেকে চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন মা। জানালেন, বাবা তারকনাথের কাছে পুজো দিয়ে ফুল পাঠিয়েছেন ছেলের কাছে। সৌভিক জানান, প্রথম কয়েকদিন শুধুমাত্র পাথর থেকে চুঁইয়ে পড়া বরফঠান্ডা জল আর শুকনো মুড়ি খেয়ে জীবন কাটিয়েছেন। একটা সময় মনে হয়েছিল আর হয়তো বাইরের পৃথিবীকে দেখতে পাবেন না। এদিকে হুগলির নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিকও গত ১৭ দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারার সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন। জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে আজ সেই ৪১ জন শ্রমিক একে অপরের পরম আত্মীয়। জয়দেবের গলা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন কোচবিহারে তাঁর বাড়ির সদস্যরা। টানেলের বাইরে বেরোনোর পর প্রতিটি শ্রমিককে পুনরায় আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের দু’জন থাকলেও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাই বেশি। তাঁদের বড় অংশই তফসিলি সম্প্রদায়ের। এছাড়া তালিকায় রয়েছেন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, ওড়িশা ও অসমের শ্রমিকরাও।

আরও পড়ুন- দণ্ডসংহিতা: বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে বিল পাশে মরিয়া কেন্দ্র

Latest article