প্রতিবেদন : আর মাত্র মাসখানেক পরে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়েছে। এর কারণ হল, একদিকে দলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পার নাছোড়বান্দা মনোভাব।
আরও পড়ুন-বিএসএফের আতঙ্কে থমথমে গীতালদহ
বয়সজনিত কারণে ইয়েদুরাপ্পা এবার নির্বাচনে লড়ছেন না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পর তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই দলের কোনওরকম অনুমোদন না নিয়েই এই লিঙ্গায়েত নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ের বিরুদ্ধে বরুনা কেন্দ্রে লড়বেন তাঁর ছেলে বিজেয়েন্দ্র। তবে ইয়েদুরাপ্পার বায়নাক্কা এখানেই শেষ নয়। প্রবীণ নেতার দাবি, তাঁর ঘনিষ্ঠ ৩৫ জনকে তাঁদের পছন্দমতো কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে।
আরও পড়ুন-মালদহে হালে পানি পাবে না বিরোধীরা
এই মুহূর্তে ইয়েদুরাপ্পাকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব না পারছেন ফেলতে না পারছেন গিলতে। কারণ দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কর্নাটকেই কোনওরকমে ক্ষমতায় টিকে আছে গেরুয়া দল। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যটি কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে তারা রাজি নয়। এ কারণেই এই লিঙ্গায়েত নেতাকে তারা চটাতে চাইছে না। কারণ, রাজ্যে ১১ শতাংশ রয়েছে লিঙ্গায়েত ভোট। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল করেই জানে, এই লিঙ্গায়েত নেতাকে ছাড়া তাঁরা কর্নাটকে একটি আসনেও জিততে পারবেন না। আবার ইয়েদুরাপ্পা ঘনিষ্ঠ ৩৫ জনকে প্রার্থী করতে হলে চলতি মন্ত্রী-বিধায়করা অনেকেই বাদ পড়বেন। যেটা তাঁরা আদৌ ভালভাবে নেবেন না।
আরও পড়ুন-নিশীথের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হামলা চালাল বিজেপি
ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ একাধিকবার ইয়েদুরাপ্পা সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাতেও বরফ বলেনি। সে কারণেই বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এগিয়ে এলেও বিজেপি এখনও এই রাজ্যে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি।