দুর্নীতির মামলার ভয়েই দলবদল, ইডিকে ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে ‘অপারেশন কমল’ বিজেপির

রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া অজিত পাওয়ার ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রার বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ।

Must read

প্রতিবেদন : একাধিক রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে ব্যর্থ বিজেপি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে গেরুয়া দল। গেরুয়া দলকে এই কাজে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বলা যেতে পারে বিজেপির হয়ে অপারেশন কমল চালিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিজেপি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি করে। অথচ এই দলেই ঠাঁই পেয়েছে বিভিন্ন দলের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা।

আরও পড়ুন-অনলাইনে আর্থিক হিসাব পেশ করা যাবে সারা বছরই

বাংলায় শুভেন্দু অধিকারীর মতো দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিজেপিতে গিয়ে কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন। একই পরিস্থিতি অসমে। সেখানেও বিজেপিতে যোগ দিয়ে দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল মহারাষ্ট্রে। রবিবার দুপুরে হঠাৎই এনসিপির ৯ বিধায়ক বিজেপি-শিন্ডে সরকারে যোগ দেন। বিজেপি সরকারে যোগ দেওয়া এই বিধায়কদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ। যার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি কারও বিরুদ্ধে দুই তদন্তকারী সংস্থাই তদন্ত করছে। রাজনৈতিক মহল স্পষ্ট জানিয়েছে, দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই তাঁরা বিজেপির হাত ধরেছেন।

আরও পড়ুন-কম দামে সবজি এবার মিলবে সুফল বাংলায়

রবিবার মহারাষ্ট্রে নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া অজিত পাওয়ার ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রার বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। অজিতের বিরুদ্ধে ওই দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। মহারাষ্ট্র স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির ঘটনাতেও জড়িয়েছে অজিতের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিপুল সম্পত্তি ও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারী সংস্থা। যদিও ইডির পেশ করা চার্জশিটে তাঁদের নাম নেই। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৫ সালে ইডি গ্রেফতার করেছিল ছগন ভুজবলকে। মুম্বইয়ে জমি কেলেঙ্কারি এবং নতুন মহারাষ্ট্র সদন নির্মাণে বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। দুটি অভিযোগেই আপাতত জামিনে মুক্ত ছগন।

আরও পড়ুন-হিংসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই দায়ী করলেন ম্যাক্রোঁ

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত করছে এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও রয়েছে। এই অভিযোগের তদন্তে ইডি প্রফুলের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি ছাড়া সিবিআইও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। কোলাপুরে একটি চিনি কারখানায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত চালাচ্ছে হুসেন মুশরিফের বিরুদ্ধেও।

আরও পড়ুন-উত্তর ২৪ পরগনায় উন্নয়নের ফ্লাডগেট খুলে গিয়েছে

এদিকে সোমবারই দলের বিদ্রোহী কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন শারদ পাওয়ার। সাংসদ প্রফুল প্যাটেল, সাংসদ সুনীল তটকরে এবং তিন বিধায়ককে এদিন এনসিপি থেকে বহিষ্কার করেন শারদ পাওয়ার।

Latest article