সুদেষ্ণা ঘোষাল, দিল্লি: ভোটের ময়দানে গোহারা হারার পরেও চক্রান্তের রাস্তা থেকে সরছে না বিজেপি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে মোদি সরকার৷ এই চক্রান্তেরই অংশ হিসেবে তৃণমূল সাংসদের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার, যেখানে তাদের পুরনো আসনবিন্যাস ভেঙে লোকসভায় নতুন আসন বণ্টন করা হয়েছে৷ এর জেরে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন লোকসভায় দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে লোকসভার স্পিকারকে ই-মেল করে তাঁদের দলের অবস্থান জানাবেন বলে স্থির করেছেন৷ এই ই-মেলেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করবেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাঁরা মানবেন না৷ অবিলম্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের পুরনো আসনবিন্যাস ফিরিয়ে দিতে হবে৷ এই প্রসঙ্গে শনিবার দিল্লিতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা হয় নাকি? দলের নেতা এক জায়গায় বসবেন আর তাঁর থেকে দূরে বসবেন তাঁদেরই দলের অন্য সাংসদরা! যে আসনবিন্যাস তালিকা আমাদের দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আমার থেকে অনেক দূরে বসছেন দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বেশ কিছুটা দূরে আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দ্বাদশ লোকসভা থেকে আমি সংসদে আসছি৷ এটা অষ্টাদশ সংসদীয় অধিবেশন৷ এতদিন এমন কোনও কাণ্ড দেখিনি৷ সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানা হবে না৷ আমাদের পুরনো আসনবিন্যাস ফিরিয়ে দিতে হবে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সব সাংসদ একসঙ্গেই বসবেন৷’’ সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতে এই ইস্যুতে কংগ্রেসও তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রতিবাদ করতে চায় বলে জানান দলের ডেপুটি লিডার গৌরব গগৈ৷