প্রতিবেদন: নজিরবিহীন রায় দিল কেরলের (Kerala) এক আদালত। লাগাতার তিনবছর ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বাবা। দুর্দিনে পাশ থেকে সরে গিয়েছেন মা-ও। তারপরেও লড়াই থামায়নি ধর্ষিতা নাবালিকা। সরকারি হোমে থেকেই নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছে ন্যায়বিচার। নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচারে আদালতের সব অপরাধ মিলিয়ে ধর্ষক সৎ বাবার ১৪১ বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে কেরলের মঞ্জেরির বিশেষ পকসো আদালত।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর এই পরিবার কর্মসূত্রে কেরলের মলপ্পুরমে উঠে আসে। সেখানেই নাবালিকার মায়ের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে লাগাতার নিয়মিতভাবে ১২ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে থাকে অভিযুক্ত সৎ বাবা। ২০২১ সালে নাবালিকার মা ও এক বন্ধুর সহযোগিতায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকা। আদালত তাকে নির্ভয়া হোমে রেখে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয়। আর তারপরেই হঠাৎ নাবালিকার মা নিজের বয়ান বদল করে সৎ বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। শুধুমাত্র বন্ধুর সাক্ষ্যর ভিত্তিতে চলতে থাকে তদন্ত। তদন্ত চলাকালীন হোম থেকে মায়ের কাছে গিয়ে থাকার সুযোগ পায় একবার নাবালিকা। সেই সময়ও সৎ বাবা তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ দায়ের করতে বাধা দেন নাবালিকার মা।
অবশেষে বিশেষ পকসো আদালত সবকটি অপরাধের জন্য সম্মিলিতভাবে ১৪১ বছরের সাজা ঘোষণা করে। সেইসঙ্গে ৭.৮৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন বিচারক এ এম আশরফ। তবে একাধিক সাজার মধ্যে সর্বোচ্চ সাজা ৪০ বছরের হওয়ায় দোষী বাবাকে সর্বোচ্চ ৪০ বছর জেল খাটতে হবে। নাছোড় মনোভাব নিয়ে শেষপর্যন্ত জয় পেয়েছে নির্যাতিতা নাবালিকা।