প্রতিবেদন : রাজ্যে ব্রুসেলা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জরুরি ভিত্তিতে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পরীক্ষাগার-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখার উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্রুসেলোসিসের প্রাথমিক উপসর্গ করোনার মতোই। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, দুর্বলতা, পেশিতে ব্যথা, শিরদাঁড়ায় ব্যাথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রথমে রোগ নির্ণয় না হলে পরে ক্রমশ অঙ্গ বিকল হতে থাকে।
আরও পড়ুন : বরাত পেয়ে প্রাণ ফিরল পাওয়ারলুমের
তার জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ব্রুসেলা সংক্রমণ মোকাবিলা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা জেলাগুলিতে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, রামপুরহাট, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা এবং বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রুসেলোসিসের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আওতায় রাজ্য জুড়ে গবাদি পশুদের ব্রুসেলা প্রতিরোধক টিকাকরণ কর্মসূচি ছিল। এর পরেই বহু প্রাণিবন্ধু-প্রাণিকর্মী-প্রাণিমিত্র ব্রুসেলা সংক্রমিত হন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মূলত গবাদিপশুর দেহ থেকে ব্রুসেলা নামক এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।