মেগা প্রার্থীরা হালকা চালে

Must read

প্রতিবেদন : রাজনীতিতে তাঁরা প্রত্যেকেই পোড়খাওয়া। ছোট লালবাড়ির লড়াইয়ে বামফ্রন্টকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রত্যেকেরই অবদান আছ। আবার কলকাতার উন্নয়নেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন প্রত্যেকেই। ভোটের আগের দিন এই মেগা প্রার্থীরা হালকা চালেই ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ছাড়াও দলীয় অফিসে বসে পার্টি কর্মীদের সঙ্গে ভোট পরিচালনায় যাবতীয় নির্দেশও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, ভোট মানেই গণতান্ত্রিক উৎসব।

আরও পড়ুন : ‘মামতেয়ী’ পুরসভার তিলোত্তমা নির্মাণ

যেন মানুষ সেই উৎসবেই শামিল হয়। সেই প্রেক্ষিতেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য দলীয় কর্মীদের সদর্থক নির্দেশও দিয়েছেন প্রার্থীরা। অন্যান্য ওয়ার্ডেও যাতে কর্মীরা প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেন সেই নির্দেশও পাঠিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। সাংসদ মালা রায় এবারেও প্রার্থী। পুরভোট নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রচুর। এদিন তিনি দলীয় অফিসে কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেন। সবটাই ছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই।

ফিরহাদ হাকিমকে পাওয়া গেল সাধারণভাবে। নির্বাচনের কোনও টেনশন নেই তাঁর মধ্যে। এমনিতেই তিনি ঠান্ডা মাথার মানুষ। সব কিছু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও তাঁর সুনাম রয়েছে। কর্মীদের সঙ্গে এদিন দফায় দফায় বৈঠকও করেন তিনি। নিজের পাড়াতে আর পাঁচটা দিনের মতোই কাটান দেবাশিস কুমার। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বহু কর্মী-নেতা ছাড়াও সাধারণ ভোটার। এরই ফাঁকে ফুটপাথে বসে টুকটাক খাওয়া দাওয়া করলেন বর্ষীয়ান দেবাশিস কুমার। বেলেঘাটায় নিজের অফিসে বসে সকালেই খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নেন দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর পরেশ পাল। নাগরিকরা তাঁর কাছে কিছু সমস্যা নিয়ে আসেন। নিয়ম মেনে তার সমাধান করার চেষ্টা করেন তিনি। উত্তর কলকাতার বিধায়ক তথা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর অতীন ঘোষ এদিন সকাল থেকেই ছিলেন দলীয় অফিসে কর্মীদের সঙ্গে। দুপুরে বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেই আবার পার্টি অফিসে। আড্ডা-মজা এসব নিয়েই কাটে। দক্ষিণে অন্যতম প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারও ছিলেন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে। তিনি সময় কাটান কর্মীদের সঙ্গেই।

আরও পড়ুন : রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে জরায়ু ক্যান্সার গবেষণা

প্রত্যেক নেতাই বলেছেন, বিজেপির টার্গেট নির্বাচনে প্ররোচনা তৈরি করা। তার কারণ ইতিমধ্যেই বিজেপি বলেছে, ভোট নিয়ে যদি কিছু হয় তারা অবরোধ করবে। অর্থাৎ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কমিশনকে ও পুলিশ প্রশাসনকে অনেকটা হুমকি দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখেছে সেখানে এই ধরনের হুমকি প্রমাণ করে গণতন্ত্রকে বানচাল করতে চায় তারা।

Latest article