গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় দল

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে ঘিরে বৃহস্পতিবার ভগবানপুরবাসী পাল্টা প্রশ্ন তুললেন, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন?

Must read

সংবাদদাতা, ভগবানপুর : সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেই দল আবাস যোজনার তদন্তে গিয়ে ভগবানপুরে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ল। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের গাড়ি ঘিরে ধরে গ্রামের মহিলারা বৃহস্পতিবার ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের রাজ্যে আসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিজেপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের রাজনৈতিক ঘাটতি, দেউলিয়াপনা ঢাকতে এগুলো করছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলে যাঁরা আসছেন, তাঁদের আমরা রাজনৈতিক পর্যটক বলেই মনে করছি। শীতের বাংলায় তাঁরা আসবেন, ঘুরবেন, কুৎসা করাটা তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে। কুণালের স্পষ্ট কথা, আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় দুর্নীতি নেই, দাবি রায়দিঘির বিধায়কের

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে ঘিরে বৃহস্পতিবার ভগবানপুরবাসী পাল্টা প্রশ্ন তুললেন, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন? ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লক বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সামনে পথ আটকান কয়েকশো মহিলা। এক বিক্ষোভকারী জানান, ১০০ দিনের কাজের তিন বছরের টাকা তাঁরা পাননি। কেন তিন বছর কাজ বন্ধ? এর জন্য মোদি সরকারই দায়ী। কেন্দ্রীয় এই দল আমাদের বঞ্চনার জবাব দিক। আরেক বিক্ষোভকারীর স্পষ্ট কথা, এটা কেন্দ্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা। বারবার ভগবানপুরকেই টার্গেট করা হচ্ছে। এখানকার বাসিন্দারা কী দোষ করেছেন? ১০০ দিনের হকের টাকার বঞ্চনা নিয়ে যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আশ্বাস দিচ্ছে, ততক্ষণ তাঁদের ছাড়া হবে না।

আরও পড়ুন-৩১ মার্চের মধ্যে জিপিএস সিস্টেম চালু রাজ্য পরিবহণে

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভগবানপুর থানার পুলিশ, বিডিও বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব মাইতি গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেন, ওঁরা আবাস যোজনার তদন্তে এসেছেন, দয়া করে ওঁদের ছেড়ে দিন। গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের জানান, আপনারা ফিরে গিয়ে কেন্দ্রকে আমাদের এই বঞ্চনার কথা ভাল করে জানাবেন। আমাদের মতো গরিব মানুষের জীবনে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা যেন ওঁরা অনুভব করেন। আমরা ভিক্ষে চাইছি না, অধিকার চাইছি।

Latest article