পশ্চিমবঙ্গ দিবস ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলা নববর্ষের শুরুর আগে রাজ্যবাসী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মা-মাটি-মানুষের কল্যাণে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

Must read

প্রতিবেদন : নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। এরই মধ্যে আজ শনিবার পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পালিত হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস। রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্র সদনের সামনে ক্যাথিড্রাল রোডে রাজ্য দিবসের অনুষ্ঠানটি হবে বিকেল ৫টায়। আজ ফের উত্তরে প্রচারে থাকবেন নেত্রী। চালসায় নববর্ষের উদযাপনে রোড-শো করবেন তিনি। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে প্রচারসভা সেরে কলকাতায় ফেরেন কালীঘাটে পুজো দেবেন বলে। প্রতিবছরই পয়লা বৈশাখে আগের দিন কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে পুজো দেন রাজ্যের মানুষের কল্যাণে। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ছিল অভিষেক-কন্যা আজানিয়া। বাংলা নববর্ষের শুরুর আগে রাজ্যবাসী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মা-মাটি-মানুষের কল্যাণে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আরও পড়ুন-ইডেনে আজ সবুজ-মেরুন জার্সিতে রাহুলরা

চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় প্রথমেই দলনেত্রী যান নকুলেশ্বর মন্দিরে। রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় সেখানে পুজোও দেন তিনি। এরপর অভিষেক-কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নেত্রী পৌঁছন কালীঘাট মন্দিরে। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। ঘুরে দেখেন ভোল পাল্টে ফেলা গোটা কালীঘাট মন্দির-চত্বর। এরপর রাজ্যবাসীর উদ্দেশে জননেত্রী বার্তা দেন, রাজ্যবাসী, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী-সহ সকলকে শুভ নববর্ষের শুভনন্দন। সর্বধর্ম, সর্বশ্রেণি ও সর্ববর্ণের সমস্ত মানুষের জন্য আমার শুভ কামনা থাকবে। আগামিকাল আমাদের বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবসও রয়েছে। সেই উপলক্ষেও সবাইকে অভিনন্দন জানাই।

আরও পড়ুন-নতুন বর্ষে মিড ডে মিলে স্পেশাল মেনু

মন্দির পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালীঘাট মন্দিরে এখনও কাজ চলছে। কুণ্ডুপুকুর থেকে শুরু করে গোটা মন্দিরের সংস্কারের কাজ-সহ বাইরেরও যত কাজ হচ্ছে, সবটাই আমরা করছি। স্কাইওয়াকের কাজ অগাস্টে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা ইচ্ছে করেই এখনও সরকারিভাবে মন্দির খুলিনি। কারণ, স্কাইওয়াকের কাজ শেষ না হলে হকারদের নিয়ে বসা যাচ্ছে না। তাঁদের নিয়ে বসে গোটা বিষয়টাকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। বাকি এখনও পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে, তা আমাদের অফিসারদের দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ করেছে। শুধুমাত্র মন্দিরের চূড়াটা মুকেশরা করেছে, কিন্তু বাকি যাবতীয় খরচ রাজ্য প্রশাসনই করেছে। এর জন্য আমাদেরও প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার সংযোজন, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সংস্কারও আমরা করে দিয়েছি। দিঘায় জগন্নাথ ধামও হচ্ছে। নকুলেশ্বর মন্দিরে ভোগদ্বার করার কথা বলেছিল, ওটাও করে দিচ্ছি। আমি চাই সর্বধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতিতে দিনগুলি কাটাক।

Latest article