বাংলায় বিজেপিকে একাই রুখছে তৃণমূল, মুর্শিদাবাদে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Must read

বাংলায় বিজেপির দালাল সিপিএম-কংগ্রেস। জোট নয়, রাজ্যে একাই লড়ছে তৃণমূল। শুক্রবার, দলীয় প্রার্থীর প্রচারে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার সভা থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, দিল্লিতে জোট ভোট মিটে যাওয়ার পরে হবে। কিন্তু বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে বাম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। সেই কারণে বিজেপিকে রুখতে একাই লড়ছে তৃণমূল। একই সঙ্গে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৩০০০টাকা করে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-এনআরসি নিয়েও এদিনর সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সাফ জানিয়ে দেন, বাংলায় তিনি এনআরসি হতে দেবেন না।

এদিন হরিহরপাড়ার কৃষক বাজার ময়দানে সভা বিজেপিকে প্রবল আক্রমণ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “মোদী কী গ্যারান্টি দিচ্ছে? অভিন্ন সিভিল কোর্ট করবে বিজেপি। ওটা চালু হলে আপনার আলাদা বলে কোনও ধর্মীয় রীতি থাকবে না। আর যেটাকে ওরা হিন্দু ধর্ম বলছে, সেটা স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণের হিন্দু ধর্ম নয়, বহিরাগতদের চাপিয়ে দেওয়া দস্যু দাঙ্গা ধর্ম।”

আরও পড়ুন- পাকিস্তানে জঙ্গিদের নিশানায় জাপানিরা! খতম ২ সন্ত্রাসবাদী

বাংলায় তিনি এনআরসি-সিএএ করতে দেবেন না। তীব্র আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দরকার হলে না খেয়ে থাকব, তবে বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। জীবন বাজি রেখে বলছি। আমার জীবন থাকতে এনআরসি করতে দেব না।” পরিযায়ী শ্রমিকদের ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকেরা যাঁরা রমজানে বাড়ি এসেছেন, ভোট না দিয়ে নড়বেন না এক পা-ও। ভোট না দিলে আধার কার্ড থেকে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। সিএএ, এনআরসি-তে নাম ঢুকিয়ে দেবে। এভাবেই ওরা অসমে ১৯ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়েছিল।” এবারের ভোটকে স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই বলে দাবি করে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “মোদি যদি আবার ক্ষমতায় আসে দেশে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না। তাই দেশকে বাঁচাতে মোদিকে, বিজেপিকে হাটাতে হবে”।

বিজেপি নেত্রী হুমকি দিয়েছেন, বিজেপি জিতলে ৩ মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হবে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ৩ মাসের মধ্যে বিজেপিকে দেশে গুটিয়ে দেবে মানুষ। বাংলার বঞ্চনা নিয়েও এদিনের সভা থেকে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, কর্মশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনের পরে ৫০দিনের কাজের গ্যারেন্টি দিচ্ছে রাজ্য।

Latest article