৩৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দেওচা পাঁচামিতে যথাযথ পুনর্বাসন

Must read

প্রতিবেদন : দেওচা পাঁচামি খনি প্রকল্পের পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিধানসভায় তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, সিঙ্গুরে যা হয়েছে আমরা তা করব না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই যা করার করব। জোর করে কিছু করব না। সবাই যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই প্রকল্পকে ঘিরে রাজ্যের অর্থনীতি এক স্বতন্ত্র মাত্রা পাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।

আরও পড়ুন : নেতা রোহিত, বিশ্রাম দেওয়া হল বিরাটকে

এই খনি প্রকল্পে পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সরকার। তার মধ্যে দশ হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ হিসেবে থাকছে। এই প্রকল্পে এক লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে।
বিধানসভায় এই ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যা করা হয়েছিল আমরা তা করব না৷ বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকে দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিংহ কোল ব্লকে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ একর জমিতে ১ হাজার মেট্রিকটন কয়লা ও প্রায় ১ হাজার ৪০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার ব্যাসল্ট ডিপোজিট রয়েছে। সরকার যে জোর করে এখানে কিছু করবে না তা অনেক আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণে বহু টালবাহানার পর দেওচা পাঁচামি রাজ্য সরকারের হাতে আসার পর জমি অধিগ্রহণে কোনও তাড়াহুড়ো করেনি রাজ্য সরকার। মহম্মদবাজারের স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে সরকার। এদিন তাই বিধানসভাতেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলেই পুনর্বাসন প্যাকেজ করা হয়েছে যাতে এখানকার যেসব মানুষের জমি-বাড়ি অধিগৃহীত হবে তাঁরা যথাযথ ক্ষতিপূরণ পান। এরপরেও যদি কেউ কোনও গ্রহণযোগ্য উপদেশ দেন সেটাও বিবেচনা করে দেখবে সরকার।

আরও পড়ুন : সাংসদ শতাব্দী এবার আইনজীবী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিপুল কয়লাসমৃদ্ধ এই কোল ব্লক দেশের সব থেকে বড় কোল ব্লকগুলির অন্যতম। এখান থেকে উত্তোলিত কয়লা শুধু বীরভূম জেলা নয়, গোটা রাজ্য তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। কয়েকটি ফেজে এই প্রকল্পটি করা হবে। প্রথম ফেজে দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিংহ এলাকা, যেখানে কম গভীরতার কোল ডিপোজিট আছে সেটির কাজে হাত দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এই প্রকল্প থেকে কয়লা তোলার প্রকল্প শুরু করার আগে রাজ্য সরকার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছে যাতে তফসিলি জাতি, আদিবাসী সহ এলাকার সমস্ত মানুষের সবরকম স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে। এটাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। সেইমতোই কাজ এগোবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

এদিকে সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর অবশেষে গ্রামোন্নয়নের কাজ শুরু হল। খুশি সাধারণ মানুষ। ভাসাই পাইকড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্দ্বীপা গ্রামে ২০ লক্ষ টাকায় রাস্তা ও গার্ডওয়াল গড়ে তোলার কাজের সূচনা করলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। সূচনার পর আমিরুল জানান, নির্বাচন শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সামশেরগঞ্জের উন্নয়নের কাজ শুরু হল। জেলা পরিষদের ২০ লক্ষ টাকায় গ্রামে দশ লক্ষ টাকায় গড়ে তোলা হবে রাস্তা। আমরা মানুষকে কথা দিয়েছিলাম উন্নয়নের কাজ করব। সেই কথা রাখলাম। আমরা সব সময় আছি মানুষের পাশে। আমরা আছি লড়াই সংগ্রামে, মানুষের বিপদে আপদে। কিন্তু যারা নির্বাচনের আগে বড়বড় কথা বলেছিল, তাদের আজ দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিচ্ছি। ২০২৪ সালে বিজেপিকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে হবে। দেশনেত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা দেখতে চাই। আগামী দিনে সামশেরগঞ্জের উন্নয়নের কাজ করতে চাই মানুষের পাশে থেকে, মানুষের সঙ্গে থেকে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্যা বেগম ফউজিয়া ও ভাসাই পাইকড় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।

 

Latest article