খনিগর্ভে বিস্ফোরণের জেরে ধস, আতঙ্কে লাউদোহা

স্থানীয়দের দাবি, রাজ্য সরকারের দেওয়া পাট্টা জমিতে তাঁরা বাড়ি করে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। ৩০ অগাস্টের বিস্ফোরণে ঘরবাড়ির ক্ষতি হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত।

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : খনিগর্ভে বিস্ফোরণের জেরে ধস নেমেছে এলাকায়। ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ির। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ১৫টি পরিবার। দ্রুত পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঘরছাড়া পরিবারের সদস্যরা। গত ৩০ অগাস্ট দুর্গাপুর-ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের শীর্ষা গ্রামে ধস নামে। ক্ষয়ক্ষতি হয় বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির। খনি সংস্থা ইসিএলের খনিগর্ভে তীব্র বিস্ফোরণের কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। শীর্ষা গ্রামে কয়লাখনির কাছাকাছি রয়েছে বসতি এলাকা।

আরও পড়ুন-‘সোমবারই ১০হাজার তরুণ-তরুণী চাকরির নিয়োগপত্র পাবে’, দলীয় অধিবেশন থেকে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিলেন মমতা

স্থানীয়দের দাবি, রাজ্য সরকারের দেওয়া পাট্টা জমিতে তাঁরা বাড়ি করে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। ৩০ অগাস্টের বিস্ফোরণে ঘরবাড়ির ক্ষতি হওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত। বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় খনি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি তাঁদের অন্যত্র শিবির করে বসবাসের ব্যবস্থা করেছে। শিবিরে বর্তমানে রয়েছে ১৫টি পরিবার। শিবিরে থাকা এক সদস্য জানান, সোমবার পর্যন্ত শিবিরে রান্না করা খাবার দেওয়া হত সংস্থার পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার থেকে রান্না করা খাবার পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থা। পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, তেল। কিন্তু জ্বালানি না দেওয়ায় তাঁরা রান্না করতে পারছেন না। শিবিরে চরম দুর্ভোগে তাঁদের দিন কাটছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-‘১১ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার লিস্টের কাজ হবে’ দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

খনিসংস্থা তাঁদের দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলেও দাবি করেন শিবিরে থাকা অন্য এক সদস্য। জানান, রাজ্য সরকার জমির পাট্টা দিয়েছে। পাট্টার সরকারি কাগজ তাঁদের কাছে রয়েছে। তাই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সংস্থাকে করতে হবে, তা না হলে তাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে যাবেন না বলে সাফ জানান। গ্রামবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিএলের সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Latest article