কলেজিয়াম বৈঠকের তথ্য প্রকাশ নয় : সুপ্রিম কোর্ট

তথ্যের অধিকার আইনে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কলেজিয়ামের বৈঠকের তথ্য চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Must read

প্রতিবেদন : তথ্যের অধিকার আইনে বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত কলেজিয়ামের বৈঠকের তথ্য চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ শুক্রবার বলেছে, একাধিক সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে আনা যায় না। কার্যত এ সংক্রান্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকল। আরটিআই কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।

আরও পড়ুন-মেসি মার্টিনেজই শেষ চারে তুলল আর্জেন্টিনাকে

উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্ট, আরটিআই আইনের অধীনে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের বৈঠকের আলোচ্যসূচি, বিশদ বিবরণ এবং রেজোলিউশন চেয়ে দাখিল করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানি-পর্বে দুই বিচারপতির বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, কোনও অবস্থাতেই কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে বেলাইনের চেষ্টা করা উচিত নয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সুপ্রিম কোর্টই সবচেয়ে স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান। কলেজিয়ামকে তার কাজ করতে দিন। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বরের ওই কলেজিয়াম সভার কার্যবিবরণীর তথ্য প্রকাশের বিষয়ে প্রত্যাশিত স্বচ্ছতা দেখা যাচ্ছে না। তারই প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছিল দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তবে গত শুক্রবার শুনানি শেষ হলেও রায়দান সংরক্ষিত রাখা হয়।

আরও পড়ুন-রাজ্যসভায় পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল, তৃণমূলসহ বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে সরকার

শুক্রবার ওই মামলার রায় ঘোষণা হল। কলেজিয়াম বৈঠকের তথ্য চাওয়ার আবেদনটি এদিন খারিজ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। তবে রিজিজুর মন্তব্য নিয়ে এর আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিচারপতি নিয়োগে গয়ংগচ্ছতার অভিযোগও তুলেছে। গত মাসে বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কাউল ও বিচারপতি এ এস ওকার বেঞ্চ কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করে বলেছিল, বিচারপতি নিয়োগের জন্য কলেজিয়ামের সুপারিশ করা নামে সম্মতি জানাতে সরকারের তরফে অকারণ দেরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আইনমন্ত্রী রিজিজুর অভিযোগ, বর্তমান কলেজিয়াম ব্যবস্থায় অস্বচ্ছতা রয়েছে। এমনকী, বিচারপতি নিয়োগের এই ব্যবস্থাকে ভারতীয় সংবিধান বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর ওই মন্তব্যকে গত মাসে হতাশাজনক বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Latest article