কল্যাণ চন্দ্র, সাগরদিঘি: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে ঠেকাতে কংগ্রেস-বিজেপি হাত মেলাল। নানাভাবে ভোটারদের প্রলোভিত ও প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাল। বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথে ঢুকে পড়লেন, রাজ্য পুলিশকে বের করে দিলেন। এতকিছুর পরেই সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোট দিলেন। তৃণমূল যে তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে, এটা বুঝেই দিনভর কংগ্রেস ও বিজেপি গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। বিজেপি-কংগ্রেসের আঁতাঁতের ছবিও চলে এল প্রকাশ্যে।
আরও পড়ুন-গ্রিন করিডর করে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে
সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সমসাবাদ স্কুলের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই ঢুকে পড়েন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। দুই রাজ্য পুলিশকে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলেন। ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য পুলিশ কোথায় থাকবে, থাকবে না, সেটা ঠিক করতে পারেন না বিজেপি প্রার্থী। ওই কেন্দ্রে আসেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় দিলীপকে। যা কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির অশুভ আঁতাঁতই প্রমাণ করল, দাবি দেবাশীষের, যা আগেই বলে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মণিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৩ এবং ১২৪ নং বুথের ভোটারদের বিজেপি ঘুগনি-মুড়ি, চপ খাইয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন-অবসরের ইঙ্গিত দিলেন শিখর
বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪৭ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীরা মদের বোতল দিয়েছে বলেও অভিযোগ। রতনপুরে মহিলা ভোটকর্মী দ্বারা পরিচালিত মহিলা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের সঙ্গে বাইরনের ভোটের টাকা লেনদেনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।