বিজেপিকে ভোট দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাল মহিলাদের

জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ‘রাম, বাম ও শ্যাম’ এক হয়েছে, তাতেও ঠেকাতে পারবে না তৃণমূলকে।

Must read

কমল মজুমদার, সাগরদিঘি: বেলা গড়াতেই সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে একাধিক বেনিয়মের চিত্র ধরা পড়েছে। বিধি ভেঙে হরহরি-দক্ষিণপাড়ার ৭৮ নম্বর বুথে একাধিক ভোটারকে কংগ্রেসের পতাকা লাগানো টোটো করে বাড়ি থেকে বুথ পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে কিছু টোটোচালককে।

আরও পড়ুন-কংগ্রেস-বিজেপি থামাতে পারল না তৃণমূলকে, বিধি ভাঙলেন গেরুয়া প্রার্থী

হোসেনপুর এলাকাতে ২১০ এবং ২১১ নম্বর বুথে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ঢুকলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু গ্রামবাসী বাইরনকে ঘিরে ক্ষোভ দেখান। দাবি, কংগ্রেস প্রার্থীর বুথে প্রবেশের কোনও অধিকার নেই। গোলমাল বড় আকার নেওয়ার আগেই বাইরন নিজের গাড়ি চেপে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহাকে বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ‘রাম, বাম ও শ্যাম’ এক হয়েছে, তাতেও ঠেকাতে পারবে না তৃণমূলকে।

আরও পড়ুন-গ্রিন করিডর করে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে

কেন্দ্রীয় বাহিনী মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সাগরদিঘিতে মোতায়েন করা হয়েছে। কানাইচন্দ্রের দাবি, বালিয়া, কাবিলপুর, পাটকেলডাঙা প্রভৃতি এলাকায় বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সাধারণ ভোটার এবং মহিলাদেরকে ভয় দেখিয়েছে। তবে তাদের এই ষড়যন্ত্র ধোপে টিকবে না। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছি। সাগরদিঘি কামদাকিঙ্কর স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে হবে গণনা।

Latest article