পুজোয় মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী

Must read

পুজোয় বিধিনিষেধ কিছুটা আলগা করা হলেও সতর্কবার্তা জারি ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে চরম বেপরোয়া মনোভাব ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। এর খেসারত দিতে শুরু করল রাজ্য। করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় কলকাতা, সংলগ্ন চার জেলা এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুরে অবস্থা ক্রমশ সঙ্কটজনক হচ্ছে। রাজ্য সরকারের শীর্ষমহলের পর্যবেক্ষণেই এর নজির পাওয়া গিয়েছে। করোনা নিয়ে ফের কিছুটা কড়াকড়িতে ফিরল রাজ্য প্রশাসন। শনিবার নবান্নে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাতের বিধিনিষেধ, মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন ও মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কঠোর ‌হতে হবে। কোভিড টেস্টিং, ট্র্যাকিং ও ট্রিটমেন্টে বিশেষ নজর দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে কড়া তোপ বিজেপি সাংসদের

প্রায় সাড়ে চার মাস পর শনিবার রাজ্যে নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শেষবার দৈনিক সংক্রমণ এই জায়গায় ছিল। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ১৫৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৯৭৪ জনের। রাজ্যে পজিটিভিটির হার ২.২৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ যে পাঁচ জেলায় দেখা গিয়েছে, সেগুলি হল কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৮। তবে কলকাতা পুরসভার হিসেব বলছে, তাদের এলাকায় ৩১৮ জন সংক্রামিত হয়েছেন। পুর এলাকার বাইরে এই সংখ্যা ১৩১। এই ৩১৮ জনের মধ্যে উপসর্গহীন ২৫৭ জন ও উপসর্গযুক্ত ৬১ জন। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ২২ জন। দ্বিতীয় ডোজ নেন ১৯৪ জন। টিকাই নেননি ৫৫ জন। আর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ৩৫ জনকে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে কড়া তোপ বিজেপি সাংসদের

টিকাকরণ সত্ত্বেও কলকাতার এই অবস্থা এবং রাজ্যে ১২ জনের মৃত্যু স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সব জেলাশাসক, জেলার শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। প্রয়োজন অনুযায়ী ফের মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ যাতে কঠোরভাবে মেনে চলা হয়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাতে হবে। মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতেই হবে। টিকাকরণের গতি বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে এবং নতুন ও আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য ব্যবস্থা তৈরি রাখা নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।

Latest article