প্রতিবেদন : ক্ষমতায় টিকে থাকতে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। তাই ওয়াকফ বিলের (WAQF Bill) নামে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করার খেলায় মেতেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি ও ঐক্য ধ্বংসের এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। শনিবার ধর্মতলার রানি রাসমণি রোডে সংখ্যালঘু সমাবেশ থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিনের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, জাভেদ খান, সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
মোদি সরকারকে একহাত নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর রামমন্দির তৈরি করেছেন। এবার সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাকি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু তৃণমূল ধর্মের লড়াই হতে দেবে না। দরকার হলে আমরা রক্ত দেব, কিন্তু হিন্দু-মুসলিম ঐক্য ধ্বংস হতে দেব না। দেশের সার্বভৌমত্ব প্রাণ দিয়ে রক্ষা করব। ফিরহাদ হাকিম বলেন, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিজেপি ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। কে কী খাবে, কী পরবে তা ঠিক করে দিচ্ছে ওরা। অন্যথায় পিটিয়ে মারছে। বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে সেটাই ঘটছে বারবার। এ জিনিস আর বরদাস্ত করব না আমরা। ওরা হিন্দু-মুসলিম লড়াই লাগাতে চায়, ওদের প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না।
আরও পড়ুন- এবার ডায়মন্ড হারবারে মানুষের পরিষেবায় অভিষেকের সেবাশ্রয়
কল্যাণ বলেন, ওয়াকফ আল্লার সম্পত্তি। তা সংরক্ষণের জন্য সংবিধান একটা সিস্টেম করে দিয়েছে। মোদি সরকার সেটাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। চাইছে মুসলিম সম্পত্তিগুলির দখল নিতে। ওয়াকফ বিল (WAQF Bill) সংশোধনের নামে সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারাকে আঘাত করছে। তাঁর কথায়, বহু দরগার কাগজপত্র নেই। তা বছরের পর বছর ধরে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এখন আইন করে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের আবেগ নিয়ে খেলছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বা পুরীর মন্দিরের কমিটিতে শুধু হিন্দুরা থাকলে মুসলিমদের কমিটিতে কেন শুধু মুসলিম থাকবে না? নিরপেক্ষতার কথা যদি বলেন, তাহলে বিশ্বনাথ বা পুরীর মন্দিরের কমিটিতে হিন্দু ছাড়া অন্যদের রাখা হয়নি কেন? ফিরহাদ বলেন, সংবিধান সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেছে, তা লঙ্ঘন করছে কেন্দ্র। সব শ্রেণির মানুষের ধর্মাচরণ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিজেদের ধর্ম, অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে আমাদের।