উন্নয়নের নামে অবৈজ্ঞানিকভাবে পাহাড় কাটা! প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হিমাচলে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি, মৃত ৭৮

Must read

বৃষ্টি-ধসে বিধ্বস্ত পাহাড়ি দুই রাজ্য। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ছারখার হিমাচল প্রদেশ। উন্নয়নের নামে অবৈজ্ঞানিকভাবে পাহাড় কাটার সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রাকৃতিকি বিপর্যয়। এই দুইয়ের জেরে নাজেহাল হিমাচলবাসী। বৃষ্টি-হড়পা বানে লাফিয়া বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh Rains) এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। আজ রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে, রাজ্য বিপদে রয়েছে।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর মতে, আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১০হাজার কোটি টাকা। তবে এর কারণ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয় জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিদদের মতে, “উন্নয়নের নামে অবৈজ্ঞানিকভাবে পাহাড় কেটে ক্ষতি করা হয়েছিল জোশীমঠের, সেই উন্নয়নই হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh Rains) বিপর্যয়ের আরও এক কারণ। সঙ্গে রয়েছে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা।”

আরও পড়ুন- ১০০ বছরে এই প্রথম মহালয়ায় সূর্যগ্রহণ! ভালো হবে না খারাপ?

ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে মাত্র দু’মাসে ৮৫৭ টি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০২০ সালে যেখানে মাত্র ১৬ টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল সেখানে মাত্র ৫৫ দিনে হিমাচলপ্রদেশে ১১৩ টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ এ সংখ্যাটা ছিল ১১৭।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে রাস্তা চওড়া করার জন্য উন্নয়নের নামে ক্রমাগত পাহাড় কাটা হচ্ছে এবং ডিনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে তার জেরেই মাটি দুর্বল হয়ে গিয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই ধস নামছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগামী দিনে পাহাড়ে রাস্তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম আনার ইঙ্গিত দিয়েছে। তিনি দায়ী করেছেন  কেন্দ্রের নির্বিচারে নির্মাণ কাজ এবং অস্থায়ী ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগকে।

Latest article