হরিণের মাংস থেকেও বিশ্বে ছড়াতে পারে গভীর অসুখ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

সম্প্রতি আমেরিকায় ন্যাশনাল পার্কে একটি হরিণের মৃতদেহ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার কথা।

Must read

প্রতিবেদন : বিশ্বে এক নতুন রোগের সতর্কবার্তা দিলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর বহু দেশেই হরিণের মাংস খাওয়ার রেওয়াজ আছে। একটা বড় অংশের মানুষের কাছে অতি সুখাদ্য হিসাবে গণ্য হয় হরিণের মাংস। আর সেই মাংস থেকেই ক্রমশ ক্ষয়কারী অসুখ বা ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ ছড়িয়ে পড়তে চলেছে মানবশরীরে। সম্প্রতি আমেরিকায় ন্যাশনাল পার্কে একটি হরিণের মৃতদেহ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই আশঙ্কার কথা।

আরও পড়ুন-চলবে ১০-১৪ জানুয়ারি, ঘোষণা ব্রাত্য বসুর, শুরু হচ্ছে লিটল ম্যাগাজিন মেলা

প্রাণঘাতী এই রোগে আক্রান্ত কোনও মানুষের খোঁজ এখনও সেভাবে পাওয়া না গেলেও রোগের গতিপ্রকৃতি বুঝে মানুষকে আগাম সতর্ক করছেন গবেষকরা। সিডব্লুডি বা পোশাকি নাম জম্বি ডিয়ার ডিজিজ। সাধারণত হরিণ, রেনডিয়ার, এল্ক এবং আমেরিকান হরিণের মধ্যে দেখা যায়। এই রোগ সরাসরি পশুর মস্তিষ্কে আক্রমণ করে। এই রোগে পশু ঝিমিয়ে পড়ে, দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, চোখে ঝাপসা দেখতে থাকে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। তাই গবেষকরা রোগটিকে প্রাণঘাতী বলেন। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু অনেক দেরিতে আসে। ক্রমশ শরীর ক্ষয় হতে হতে পশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় এই রোগ। সম্প্রতি এই রোগে আক্রান্ত পশুর খোঁজ মিলেছে আমেরিকা, কানাডা, নরওয়ে এমনকী দক্ষিণ কোরিয়াতে।

আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে ধ.র্ষণ থেকে বাঁচতে চলন্ত ট্রাক থেকে ঝাঁপ!

সম্প্রতি আমেরিকার ইয়াওমিংয়ের ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে একটি হরিণের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেটি সিডব্লুডি আক্রান্ত। ইয়েলোস্টোন এলাকার এক গবেষকের তথ্য অনুযায়ী, এই রোগ দ্রুত সংক্রামক এবং ছড়াতে পারে মানুষের শরীরেও। গোটা বিশ্বেই হরিণের মাংস খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। আবার যাতে কোনও মারণ রোগ গোটা বিশ্বে মহামারী না ডেকে আনে, তাই রোগগ্রস্ত পশুর মাংস খাওয়া থেকে সতর্ক করছেন গবেষকরা।

Latest article