বেড়েছে পিতলের লক্ষ্মী-গণেশের চাহিদা, মাটির মূর্তি বিকোল কম

এবার একজোড়া লক্ষ্মী-গণেশ সব থেকে কম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় খাগড়ার পিতল-কাঁসার মূর্তির ভাল চাহিদা।

Must read

প্রতিবেদন : এবার নববর্ষের দিন পুজোর জন্য খাগড়ায় বড়কুঠির মৃৎশিল্পীদের লক্ষ্মী-গণেশের মাটির প্রতিমার চাহিদা ছিল কম। ক’দিন ধরেই লক্ষ্মী ও গণেশ মূর্তি তৈরি নিয়ে পটুয়াপাড়ায় ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। সরস্বতী পুজোর আগে থেকেই ছোট ছোট লক্ষ্মী-গণেশ মূর্তি তৈরি শুরু করেন শিল্পীরা। তবে খাগড়ার বিখ্যাত পিতল ও কাঁসার মূর্তির চাহিদার কারণে এবার মৃৎশিল্পীরা কিছুটা বাজার হারিয়েছেন। পিতলের প্রতিমা একবার কিনলে বছরের পর বছর দোকানে বা ব্যবসার জায়গায় সাজিয়ে রেখে পুজো করা যায়। ফলে মাটির প্রতিমার চাহিদা দিন দিন কমছে।

আরও পড়ুন-কোথায় গেল ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরতের গ্যারান্টি? সংকল্পপত্র নয়, বলুক জুমলা-পত্র

কিন্তু এতে মৃৎশিল্পীদের সমস্যা বেড়েছে। প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বাড়লেও মৃৎশিল্পীরা দাম বাড়াতে পারছেন না। এবার একজোড়া লক্ষ্মী-গণেশ সব থেকে কম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় খাগড়ার পিতল-কাঁসার মূর্তির ভাল চাহিদা। নববর্ষ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় মাটির প্রতিমার রেওয়াজ কমছে। যদিও ভাল কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা মূর্তি দু’-তিন বছর চলতে পারে। কিন্তু খাগড়ার এক পিতলের মূর্তি ব্যবসায়ী বলেন, নববর্ষ বা অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে প্রচুর লক্ষ্মী ও গণেশ বিক্রি হয়, তা নয়। মানুষ এখন সারা বছরই জোড়া প্রতিমা কেনেন। একবার কিনলে বছরে একবার পুজোর আগে একটু পরিষ্কার করে নিলেই নতুনের মতো চকচকে রূপ নেয়। তাই ভাল পিতলের মূর্তির দিকে ঝুঁকছেন মানুষ।

Latest article