দেশি শিঙি-মাগুর দেখাচ্ছে স্বনির্ভরতার দিশা

বাঁশ, পলিথিন, দড়ি ব্যবহার করে গোটাপাঁচেক ট্যাঙ্ক বানিয়েছেন হরিপদ। দশ ফুট চওড়া, বারো ফুট লম্বা ও দেড় ফুট গভীর এক একটা চৌবাচ্চার পরিমাপ।

Must read

সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : অভিনব পলিথিন-চৌবাচ্চায় নামমাত্র খরচে, কম সময়ে বেশি লাভ। নন্দীগ্রামে লুপ্তপ্রায় দেশি মাগুর-শিঙি মাছের প্রজননে কম খরচে পোনা উৎপাদন করে বেকার যুবক-যুবতীদের নতুন কর্মের দিশা। মাত্র কুড়ি হাজার টাকায় শুরু লাভের ব্যবসা! প্রতি পলিথিন-চৌবাচ্চায় দেশি মাগুর-শিঙি মাছের ৫০ হাজার রেণুপোনা উৎপাদন করে লক্ষ টাকা লাভ। নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকে দেশি মাগুর-শিঙি মাছের প্রজননে আয় করে কর্মসংস্থানের দিশা দেখাচ্ছেন হরিপদ দাস, বিশ্বজিৎ বর্মনের মতো যুবকরা। বাঁশ, পলিথিন, দড়ি ব্যবহার করে গোটাপাঁচেক ট্যাঙ্ক বানিয়েছেন হরিপদ। দশ ফুট চওড়া, বারো ফুট লম্বা ও দেড় ফুট গভীর এক একটা চৌবাচ্চার পরিমাপ।

আরও পড়ুন-ফসিল পার্ক হেরিটেজ

এই পলিথিন-চৌবাচ্চা পাইপ সবকিছু মিলিয়ে মোট হাজার কুড়ি টাকা মূলধন লাগে। সামান্য টাকার মূলধন লাগিয়ে দেশি মাগুর-শিঙি মাছের প্রজনন করে চারা উৎপাদন করে এক একটা পলিথিন-চৌবাচ্চা থেকে এক লক্ষ টাকা লাভ হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বনশ্রী গৌরী গ্রামের এই উদ্যোগী যুবক হরিপদ দাস বলেন, মাছের হ্যাচারি বানাতে অনেক খরচ, তাই কম খরচে এই অভিনব পদ্ধতিতে মাছের প্রজনন করাচ্ছি। ব্লক মৎস্য আধিকারিকের সাহায্য পাচ্ছি। ইচ্ছে আছে বড় একটি প্রকল্প করব। আরেক উদ্যোগী বিশ্বজিৎ বর্মনের জানালেন, বাজারে দেশি মাগুর শিঙির ভালই চাহিদা রয়েছে। মাছচাষিরা চারা নিয়ে গিয়ে চাষ করে ভাল লাভ পাবেন।

Latest article