দিলীপ বনাম শুভেন্দু

লোডশেডিং অধিকারীর অধীনে হওয়া সব ক’টি নির্বাচনী ফলাফল মেলে ধরে বিজেপি কী শোচনীয়ভাবে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরেছে তা বিস্তারিত ব্যাখা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।

Must read

প্রতিবেদন : অন্য রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়ে বাংলা থেকে দূরে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী এখন থেকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মেঘালয়, মণিপুর, অসম, ত্রিপুরা ও আন্দামানে সংগঠন দেখভাল করবেন। বুথ সশক্তিকরণ অভিযান নাম দিয়ে এই রাজ্যগুলির দায়িত্ব দিয়ে বাংলা থেকে দিলীপ-বিতাড়ন প্রক্রিয়া কার্যত পাকা করে ফেলল বিজেপি। এতে বেজায় খুশি বঙ্গবিজেপির দিলীপ-বিরোধী শিবির।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীই ফের ত্রাতা ইস্টবেঙ্গলে নতুন লগ্নিকারী ইমামি

এবার দিলীপ ঘোষ লোডশেডিং অধিকারীর বিরুদ্ধেও কার্পেট বম্বিং শুরু করেছেন। শিশিরবাবুর ছেলেটাকে তীব্র কটাক্ষে বলেছেন, সে শুধু মেদিনীপুরের নেতা। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলু লোডশেডিং অধিকারীকে দলের একাংশের তরফে জননেতা বলে প্রচার চালানোর যে চেষ্টা চলছে তাকে উড়িয়ে দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, জননেতা হলে শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা হওয়ার পরও বাংলায় বিজেপি আরও দুর্বল হচ্ছে কেন? বিজেপির দিল্লি নেতৃত্বের কাছে শিশিরবাবুর ছেলেটা সম্পর্কে যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে তা ভেঙে দিতে তার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনগুলিতে ভোটের ফলাফলকে হাতিয়ার করেছেন দিলীপ। লোডশেডিং অধিকারীর অধীনে হওয়া সব ক’টি নির্বাচনী ফলাফল মেলে ধরে বিজেপি কী শোচনীয়ভাবে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে হেরেছে তা বিস্তারিত ব্যাখা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।

আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগেই এগিয়ে তৃণমূল

রাজ্যের ট্রেনি বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেছেন। বলেছেন, উনি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারেন না। আমি চোখে চোখ রেখে কথা বলতাম। তাই লোকসভা ভোটে ফল ভাল হয়েছিল। এখন সংগঠন দিন কে দিন দুর্বল হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অর্জুন সিং-এর মতো আরও একাধিক নেতা যে বিজেপি ছাড়তে পারেন এদিন সে ইঙ্গিতও দেন দিলীপ ঘোষ। এরই সঙ্গে জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করা নিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যে দাবি করেছেন সেই বক্তব্য বিজেপি সমর্থন করে না বলেও জানান তিনি। দিলীপ ঘোষের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন অনুপম হাজরাও। তাঁকে রীতিমতো কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, উনি একজন জনভিত্তিহীন ও সোশ্যাল মিডিয়া সর্বস্ব নেতা। এই ধরনের নেতারা আন্দোলন করেন না। এদের কোনও জনভিত্তি নেই। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ভাসিয়ে রাখেন।

Latest article