প্রতিবেদন : আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়ার প্রকোপ কিছুটা নিম্নমুখী। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক থাকছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি সুপার এবং শিশুরোগ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি শিশুদের শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত সব সরকারি কর্মী এবং সব জেলার মুখ্য ও উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ছুটি সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করার আদেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান
তাই মঙ্গলবার দোলের দিনেও পুরোদমে সক্রিয় ছিল সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা। পুরোদমে সক্রিয় থেকেছে বিভিন্ন হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক। বুধবার হোলির দিনেও তা পুরোপুরি সচল থাকবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা-বিধি মেনে চলার বছর দুয়েকের অভ্যাস এখন সব বাড়িতে প্রায় লাটে উঠেছে বলেই সংক্রমণের শৃঙ্খল সহজে ভাঙা যাচ্ছে না। অতিমারি পর্বের মতো মানুষ সতর্ক হলে, সংক্রমণের থাবা এতটা চওড়া হত না। গত সপ্তাহেই বড়দের সাবধান হওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সোমবারও বিধানসভার ভাষণে কোভিড-বিধি পালনের কথা উঠে আসে তাঁর কথায়।
আরও পড়ুন-এপ্রিলেই গঙ্গার তলা দিয়ে শুরু মেট্রোর ট্রায়াল রান
এরই মধ্যে এদিন সকালে বি সি রায় হাসপাতালে সকালে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত বিদীপ্তা প্রামাণিক নামে ওই শিশুটিকে উলুবেড়িয়ার এক নার্সিংহোম থেকে গত রবিবার বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৫ বছর বয়সি বিদীপ্তার বাড়ি হাওড়ার বালি এলাকায়। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া এবং অ্যাডিনো ভাইরাসে রাজ্যে গত দু’মাসে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।