উপাচার্যের দ্বিচারিতা, প্রশ্ন পরিবেশবিদের

বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্যের তরফে রাজ্য সরকারকে পৌষমেলা সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবেশবিদ সুভাষ।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দ্বিচারিতা নিয়ে মুখর পরিবেশ-আন্দোলনকর্মী সুভাষ দত্ত। বৃহস্পতিবার এক বেসরকারি ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে উপাচার্যের তরফে রাজ্য সরকারকে পৌষমেলা সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পরিবেশবিদ সুভাষ। বলেন, ‘পৌষমেলার আয়োজক মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এই চিঠি একমাত্র ট্রাস্ট রাজ্য সরকারকে লিখতে পারে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখানে আইনি পরিভাষায় ‘অগ্রহণযোগ্য’।

আরও পড়ুন-টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি, ধানরোয়া এগোচ্ছে কৃষকদের

তা ছাড়াও, উপাচার্য মহাশয় মেলার মাঠ ঘিরে পৌষমেলা পরিচালনার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন, আবার পৌষমেলা পরিচালনার জন্য চিঠি লিখে সরকারের সাহায্য চাইবেন। এটা স্ববিরোধিতা। তিনি বলেন, পরিবেশ আদালতের আদেশবলে এই মেলা তদারকির দায়িত্ব যাদের দেওয়া হয়, সেটা সারাজীবন তারা করবে। কিন্তু উনিশ সালে বর্তমান উপাচার্য বিন্দুমাত্র সৌজন্য বা সহযোগিতা করেননি। মেলার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দূষণবিধি, স্টল বিলিতে স্বচ্ছতা ইত্যাদি। ট্রাস্ট ডিডে মহর্ষি পরিষ্কার উল্লেখ করেছেন, প্রান্তিক মানুষ তাঁদের পশরা নিয়ে বসবেন।

আরও পড়ুন-পরিষেবা তলানিতে, বিকল রেলের বোর্ড

তার থেকে এই মেলা সরে এসেছে। তবে আমরা চাই, পৌষমেলা হোক। ট্রাস্ট সেই মেলা করুক। স্থানমাহাত্ম্য বলে একটা আছে। আমরা ২০১৭ থেকে ’১৯ অবধি দেখেছি, যে কোনও কারণেই হোক, কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেলা সাঙ্গ করতে। যারা ভদ্রলোক তারা নির্দিষ্ট সময়ে উঠে গিয়েছে যাদের মধ্যে ভদ্রতার আভাস নেই, তারা ওঠেনি।

Latest article