আর মাত্র তিন মাস দূরে শরতের উৎসব

পুজোর আয়োজনে কোভিড সুরক্ষা

Must read

প্রতিবেদনে : নিয়ন্ত্রণে, তবে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। কোভিডের ফের মাথাচাড়া রুখতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য। তৎপর কলকাতা পুরসভাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কোভিড-প্রবণ কয়েকটি এলাকায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং গতি বাড়ানোর ব্যবস্থা নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুজোর দিনগুলিতে কোভিড-সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এবারে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিচ্ছেন মহানগরীর পুজো (Durga Puja) উদ্যোক্তারাও। পুজোর প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন তাঁরা। মিলিত হচ্ছেন জরুরি বৈঠকে। নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও। আনন্দের উৎসবে প্রয়োজনে মণ্ডপসজ্জাতেও সামান্য অদলবদল করারও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন অনেক উদ্যোক্তা। লক্ষণীয়, ইউনেস্কোর স্বীকৃতির দৌলতে স্বতন্ত্র মাত্রা পেয়েছে শরতের উৎসব। কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে দক্ষিণের টালিগঞ্জ, যাদবপুর এবং ইএম বাইপাস লাগোয়া কসবা, গড়ফা, সন্তোষপুর, মুকুন্দপুর, আনন্দপুরের মতো এলাকাগুলিতে এখন বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ উত্তরের যে সব জায়গায় আছড়ে পড়েছিল, আগাম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বিশেষ করে সেই জায়গাগুলিতেই। উল্টোডাঙা, কাঁকুড়গাছি, বেলেঘাটা, বেলগাছিয়া, নারকেলডাঙা, তালতলা সহ বিভিন্ন এলাকা স্বাস্থ্য দফতরের স্ক্যানারে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নমুনা পরীক্ষায় গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লক্ষণীয়, ১৪৪টি ওয়ার্ড-ক্লিনিকেই র‍্যাপিড টেস্টের সুবিধে রয়েছে। শহরের ১৫টি কেন্দ্রে ব্যবস্থা রয়েছে আরটি-পিসিআর টেস্টের। বয়স্ক নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। সামনের উৎসবের মরশুমেও মানুষের আনন্দ যাতে কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয় তার জন্য যথেষ্ট সচেতন পুরকর্তৃপক্ষ। দুর্গাপুজো (Durga Puja) আর মাস তিনেক দূরে। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে খুঁটিপুজো। দক্ষিণের সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, উত্তরের শ্রীভূমি স্পোর্টিং, বাগবাজার সর্বজনীন, মধ্য কলকাতার কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক থেকে শুরু করে মহানগরীর মাঝারি, ছোট প্রায় সব পুজো উদ্যোক্তাই বিশেষ জোর দিচ্ছেন কোভিড-সচেতনায়। জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষ যাতে মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত দু’টি বছরের মতো দর্শনার্থীদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের। দূরত্ববিধিও কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য উদ্যোক্তারা অনুরোধ জানাবেন দর্শনার্থীদের।

আরও পড়ুন: প্রকৃতিকে তুষ্ট করতে পাহাড়পুজোয় হাজার ভক্ত

Latest article