প্রতিবেদন : সামনের বছরের মধ্যেই বাংলা ডিম উৎপাদনের নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে পৌঁছে যাবে। রাজ্য বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মঙ্গলবার পোল্ট্রি ফার্মিং ও পশু খামারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এ-কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-শিশিরের দুর্নীতি, কুণালের চিঠি পেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্য ডিম ও দুধ উৎপাদনে অনেকটাই এগিয়েছে। ডিম উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজ্য। ২০২৪ সালের মধ্যে এক নম্বর স্থানে পৌঁছে যাবে বলে তাঁর দাবি। মন্ত্রী জানান, ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ উপভোক্তাকে হাঁস-মুরগি বিতরণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ঘটেছে। এক বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সতর্ক করে দেন। ঠিক এই সমযই সরকারপক্ষের বিধায়করা বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্য করে শেম শেম স্লোগান দিতে থাকেন। সামান্য সময়ের জন্য হইহট্টগোল হয়।
আরও পড়ুন-ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ শশী পাঁজার
এরপর অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে বিরোধী বিধায়কের তথ্য-সহ জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্য ডিমের উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকেই নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ভিন রাজ্যে ডিম রফতানি শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঁচটি অত্যাধুনিক মেগা পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করা হয়েছে। মেখলিগঞ্জ, ইংলিশবাজার, পুরুলিয়া, শালবনী এবং হরিণঘাটায় একটি করে এ ধরনের ফার্ম তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রতিটিতে ৩ লক্ষ মুরগি পালন করা যাবে। এই পাঁচটি সরকারি পোল্ট্রি ফার্ম চলতি বছরের শেষ থেকেই উৎপাদন শুরু করবে। এবং ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাৎসরিক ৪৬ কোটির মতো ডিম উৎপাদন করবে বলে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-অর্কিড চাষে গুরুত্ব জেলা হর্টিকালচার বিভাগের
এছাড়া পোল্ট্রি শিল্পকে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারের গৃহীত উৎসাহ ভাতা প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় ১৫৬টি বেসরকারি পোল্ট্রি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৩৭টি ফার্মে ইতিমধ্যেই ডিম উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই সমস্ত বেসরকারি পোল্ট্রি ফার্ম একসঙ্গে উৎপাদন শুরু করলে রাজ্যে বাড়তি প্রায় ২৩০ কোটি ডিম উৎপাদন সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।