সংবাদদাতা, বর্ধমান : রাজ্যের ‘শস্যগোলা’ বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান। সহায়কমূল্যে ধান কেনাতেও এগিয়ে থাকে এই জেলা। গত মরসুমে জেলা সহায়কমূল্যে ধান কেনায় শীর্ষ স্থান হারিয়েছিল। সেই জায়গা দখল করেছিল হুগলি। তাই পূর্ব বর্ধমান যাতে ‘হৃতগৌরব’ ফিরে পায় তার জন্যে বিশেষ নজর দিয়েছে খাদ্য ভবন। ধান কেনায় উৎসাহ দিতে প্রতিটি জেলাতেই শীর্ষকর্তাদের গ্রামে গ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন-তিনটি রাজ্যে জিতেই তাণ্ডব চালাল বিজেপি
ইতিমধ্যেই জেলায় এসেছিলেন খাদ্য অধিকর্তা অজয় ভট্টাচার্য। প্রশাসনিক ও খাদ্য আধিকারিক ও চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলাকে এই মরসুমে হৃতগৌরব ফেরাতেই হবে। জেলার উপর রাজ্যের অন্তত ছ’টি জেলা নির্ভরশীল। সে কারণে চাষিদের সহায়কমূল্যে ধান বিক্রি করতে উৎসাহ দেওয়ার জন্যে সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রকে মাঠে নামাতে হবে।
আরও পড়ুন-নজরে যোগীরাজ্য, গাজিয়াবাদে স্কুটি শিখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি মরসুমে পূর্ব বর্ধমানে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টন বাড়ানো হয়েছে। ফলে, এবার ধান কিনতে হবে ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০০ টন। গত বছর নভেম্বর পর্যন্ত ধান কেনা হয়েছিল ৯০০০ টনের মতো। সেখানে এ বছর কেনা হয়েছে ৮৫০০ টন। গত মরসুমে হুগলিকে ধান কেনায় শীর্ষস্থানে বসিয়েছিলেন খাদ্যনিয়ামক মিঠুন দাস। এবার তিনি পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্বে। তাঁর কথায়, কোন কোন জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দফতরের প্রতিটি বিভাগ ও দফতরের সঙ্গে যুক্ত সব সংস্থাকে নামানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনও পাশে। মনে হচ্ছে, পূর্ব বর্ধমান নিজের জায়গায় ফিরে যাবে।
আরও পড়ুন-ল্যান্ডফলের আগেই মিগজাউমের বলি ২, জারি হল ১৪৪ ধারা
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানবিক্রির জন্য প্রচার করবেন। চাষিদের রেজিস্ট্রেশনের জন্যে মোবাইল ক্যাম্প করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহিলাদেরও কাজে লাগানো হবে।