নজরে যোগীরাজ্য, গাজিয়াবাদে স্কুটি শিখতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরের ট্রনিকা সিটি থানা (Tronica city police) এলাকায় একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে ঘটেছে।

Must read

বৃহস্পতিবার গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) থেকে এক ২৩ বছর বয়সী মহিলাকে পাঁচজনের একটি দলের গণধর্ষণের খবর আসে। জানা গিয়েছে, তিন অভিযুক্তের নাম জুনায়েদ, ইমরান, চাঁদ এবং অন্য দুজনের নাম জানা যায় নি। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরের ট্রনিকা সিটি থানা (Tronica city police) এলাকায় একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে ঘটেছে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতিতা জুনায়েদকে অভিযুক্তদের একজন হিসেবে শনাক্ত করেছে। এই মুহূর্তে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আরও পড়ুন-ল্যান্ডফলের আগেই মিগজাউমের বলি ২, জারি হল ১৪৪ ধারা

ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। তাদের অনুসন্ধানের সময়, জুনায়েদকে খুঁজে পায় পুলিশ। সূত্রের খবর, সে পালানোর চেষ্টা করেছিল এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত হয়। তার দুই পায়ে গুলি লাগে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে তার জিজ্ঞাসাবাদের সময়, জুনায়েদ অন্যান্য অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেছিল। পুলিশ খবর পায় যে ইমরান ও তার তিন সহযোগীকে কাছাকাছি একটি এলাকায় দেখা গেছে। সেই মত অভিযান চালায় পুলিশ ও ধরা পড়ার পর তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা অস্বীকার করে। এরপর অভিযুক্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে। ইমরানের পায়ে গুলি লাগে এবং অন্যরা ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক সদর্থক: রাজভবন থেকে বেরিয়ে মত মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, ২৩ বছর বয়সী এই নির্যাতিতা তার দুই বন্ধুর সাথে স্কুটি চালানো শিখছিল। একজন পুরুষ সহকর্মী এবং একজন মহিলা সহকর্মী সেই সময় তার সাথে ছিলেন। হঠাৎ করেই একদল পুরুষ তাঁর দিকে ছুটে আসে এবং তাঁকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা নির্যাতিতাকে পালা করে ধর্ষণ করে এবং এরপরে উপস্থিত অন্য মহিলাটিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু গাড়ি এগিয়ে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে।

আরও পড়ুন-নতুন করে হিংসা ছড়াল মণিপুরে, মৃত ১৩

ট্রনিকা সিটি থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মহিলাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তারা তার রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে। রিপোর্টে শারীরিক বা অভ্যন্তরীণ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। পুলিশ এখন নির্যাতিতা, তার বন্ধুদের এবং আসামীদের দেওয়া বক্তব্য ক্রসচেক করছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা বিবৃতিতে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে তাই তারা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে সবদিক যাচাই করার চেষ্টা করছে।

Latest article