প্রতিবেদন : সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ত্রাতার ভূমিকায়। তাঁর হাত ধরেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এল নতুন বিনিয়োগকারী। ইমামি গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আসন্ন মরশুমে আইএসএল খেলবে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। বুধবার নবান্নে দু’পক্ষকে পাশাপাশি বসিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে ইমামি গ্রুপের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, ‘‘চা-চক্রে আলোচনায় দু’পক্ষই রাজি হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছিল, সেই সমস্যা এবার মিটে যাবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে। বাকি চুক্তি ওরা নিজেরা বসে করবে।’’
আরও পড়ুন-নির্বাচনের আগেই এগিয়ে তৃণমূল
স্পনসর না ইনভেস্টর? এই জল্পনাও দূর করেছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন,‘‘স্পনসর নয়, ক্লাবের ইনভেস্টর হচ্ছে ইমামি। মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছেন। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বসে ঠিক করব, কীভাবে চুক্তি হবে। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করেই আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করব।’’
ইপিএল জায়ান্ট ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে যুক্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই আলোচনা ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি জানান, ১০-১২ দিনের মধ্যেই সব কিছু চূড়ান্ত হতে পারে। তবে সৌরভ জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারী নয়, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মালিকানা পেতে পারে ইপিএল জায়ান্টরা।
আরও পড়ুন-ড্রোন উড়িয়ে জমি সমীক্ষা
ম্যান ইউ ছাড়া আরও কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাব বা সংস্থার সঙ্গে কথা হচ্ছে বলেও জানান সৌরভ। এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তা বলেন, ‘‘ওই ব্যাপারটা সৌরভ দেখছে। ও-ই বলতে পারবে বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে আমরা নতুন বিনিয়োগকারী পেয়েছি। ইমামিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আগামী দিনে কীভাবে এগোব, সেটা ঠিক করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না। শুধু বিনিয়োগকারী নয়, যেভাবে ক্লাবের সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে উনি যুক্ত থাকেন, সেটা বাংলার আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী আগে কখনও ভাবেননি। আমি ইমামি গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানাব। আশা করব, আগামী দিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের সাহায্যে অনেক সাফল্য পাবে।’’
আরও পড়ুন-বামেদের বেআইনি পাট্টা প্রদান
শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পর বিনিয়োগকারী নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন ক্লাব কর্তারা। বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও দীর্ঘ আলোচনা হয় তাঁদের। কিন্তু শেষমেশ চুক্তি আর হয়নি। লগ্নিকারীর অভাবে ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলা যাতে না আটকায়, সেটা নিশ্চিত করতে শেষ পর্যন্ত আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।