প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মেসে পরিবেশিত খাবার নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন এক কনস্টেবল। মনোজ কুমার নামে ওই কনস্টেবল অভিযোগ করলেন, মেসে তাঁদের এমন খাবার দেওয়া হয় যা ফেলে দিলে কুকুরেও খাবে না। এক পুলিশকর্মীর খাবার সম্পর্কে এই মন্তব্য সামনে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মনোজ কুমারের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার পুলিশ লাইনের মেসে প্রতিদিনই অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বুধবার ওই কনস্টেবল খাবারের থালা হাতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। প্রায় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, পুলিশকর্মীদের জলের মতো ডাল আর আধসেঁকা রুটি খেতে দেওয়া হয়। খাবারের গুণগত মান নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একটি প্লেটে রুটি, আর ডাল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন মনোজ। তিনি প্রকাশ্যেই বলতে থাকেন, ১২ ঘণ্টা ডিউটির পর তাঁদের এই খাবার খেতে দেওয়া হয়। অতি নিম্নমানের এই খাবার খাওয়া যায় না। ‘‘এই খাবার কুকুরও খাবে না। পেটে যদি ঠিকমতো খাবার না যায়, তাহলে আমরা ডিউটি করব কীভাবে?’’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন-নৌকাডুবি গ্রিসে
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আশ্বস্ত করেছিলেন, পুলিশ কর্মীদের ভাতা বাড়ানো হবে। পুলিশ কর্মীরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ওই কনস্টেবলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও তাঁদের অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওই কনস্টেবলের সরাসরি পুলিশ সুপার ও ডিসিপির দিকে আঙুল তুলেছেন। মনোজ বলেন, পুলিশ সুপার ও ডিসিপির কারসাজিতেই এটা হচ্ছে। আলিগড়ের বাসিন্দা মনোজের পোস্টিং ফিরোজাবাদে। মনোজের দাবি, খাবারের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ তোলায় তাঁকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-যানজট নিয়ন্ত্রণে বসল বৈদ্যুতিন ট্রাফিক সিগন্যাল
মনোজ বলেছেন, দফতরের কেউ এই বিষয়ে মাথা ঘামায় না। ক্যাপ্টেন স্যারও কোনও কথা শোনেন না। আমি তাঁকে প্লেটে রাখা রুটি খেতে বলেছিলাম। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সৈনিকরা এই খাবার খেতে পারে? আপনার সন্তানরা খেতে পারবে? শুধু এটুকুই আমার জিজ্ঞাস্য। মনোজের আপলোড করা ভিডিওটি দেখেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে ফিরোজাবাদ পুলিশ।