প্রতিবেদন : ব্যর্থ মোদি সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেপালি গোর্খা যুবকদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু মোদি সরকারের সেই আহ্বানকে উপেক্ষা করে নেপালি গোর্খাদের একটা বড় অংশ যোগ দিচ্ছে ওয়াগনার বাহিনীতে। এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অগ্নিপথ প্রকল্পের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন-দুর্নীতির মামলার ভয়েই দলবদল, ইডিকে ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে ‘অপারেশন কমল’ বিজেপির
প্রশ্ন হল, হঠাৎই নেপালি গোর্খারা কেন ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন? জানা গিয়েছে, রুশ সরকার ঘোষণা করেছে, এক বছর সে দেশের সেনাবাহিনীতে কাজ করলেই রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই ঘোষণার পরই ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন কয়েকশো গোর্খা যুবক। পাশাপাশি আছেন নেপালের সেনা বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া বেশ কিছু সেনা জওয়ানও। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাঁরা মনে করছেন, রাশিয়ার নাগরিকত্বই অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে নেপালি যুব সম্প্রদায়ের কাছে। তাই ভারতীয় বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহ হারিয়েছেন নেপালি যুবকরা। আগে রাশিয়ার নাগরিকত্ব পেতে হলে রুশ ভাষা জানা বাধ্যতামূলক ছিল।
আরও পড়ুন-অনলাইনে আর্থিক হিসাব পেশ করা যাবে সারা বছরই
বর্তমানে সেই শর্তও তুলে নিয়েছে রুশ প্রশাসন। বিরোধীদের দাবি, অগ্নিবীর প্রকল্পে কেউই খুশি নয়। সে কারণেই ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন নেপালি গোর্খা যুবকরা। গোটা বিশ্বেই গোর্খাদের সবচেয়ে দক্ষ সেনার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু অগ্নিপথ প্রকল্পের কারণে ২০০ বছরের পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। কোনও গোর্খা যুবক আর ভারতীয় সেনা বাহিনীতে আসছেন না। পরিবর্তে গোর্খা যুবকরা যোগ দিচ্ছেন ওয়াগনারের মতো বেসরকারি বাহিনীতে। এই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।