লাল ফৌজের নির্যাতন মিরামকে, অপহরণের পর কী হয়েছিল, জানালেন বাবা

সোমবার নিজের বাড়ি ফিরেছে অরুণাচলের অপহৃত কিশোর মিরাম তারো। এক সপ্তাহেরও বেশি ওই কিশোর চিনের লাল ফৌজের হাতে বন্দি ছিল।

Must read

প্রতিবেদন : সোমবার নিজের বাড়ি ফিরেছে অরুণাচলের অপহৃত কিশোর মিরাম তারো। এক সপ্তাহেরও বেশি ওই কিশোর চিনের লাল ফৌজের হাতে বন্দি ছিল। সেখানে তার সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করেছে মঙ্গলবার তার বর্ণনা দিয়েছেন মিরামের বাবা ওপাং তারো।

ওপাং জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর ছেলেকে প্রতিদিন ইলেকট্রিক শক দেওয়া দিত লাল ফৌজ। করত শারীরিক নির্যাতন। মিরামকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে একটা ঘরে বন্দি করে রেখেছিল চিনের সেনা। তার হাত ও পা সব সময় পিছমোড়া করে বেঁধে রাখা হত। এমনকী চোখও কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হত। লাল ফৌজের সদস্যরা নিয়মিত তাকে মারধর করত। এমনকী মিরামকে পিছন থেকে লাথি মারা হত। তবে তাকে দু’বেলা পেটপুরে খেতে দিত লাল ফৌজ।

আরও পড়ুন-যানজট মুক্ত হবে হাসপাতাল

মিরামের বাবা আরও জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরলেও ওই কিশোর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবসময়ই একটা আতঙ্ক ও ঘোরের মধ্যে রয়েছে মিরাম।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ওয়াচা-দামাই পয়েন্ট দিয়ে লাল ফৌজ মিরামকে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেয়।
ডেপুটি কমিশনার শাশ্বত সৌরভ জানিয়েছেন, অরুণাচলের তরুণরা অনেকেই সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় গুল্ম জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ সংগ্রহ করতে যায়। অনেকে শিকার করতেও যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই সমস্ত ভেষজ উদ্ভিদ চড়া দামে বিক্রি হয়। জঙ্গলের মধ্যে সীমান্ত নির্দিষ্ট না থাকায় অনেক সময় তারা হয়তো সীমানা অতিক্রম করে চিনের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। সে সময় তাদের অপহরণ করে লাল ফৌজ। আপার সিয়াং জেলার বাসিন্দা মিরামও একইভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে চিনের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। সে সময়ই তাকে অপহরণ করা হয়। এর আগেও অরুণাচল সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গল এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনকে তুলে নিয়ে গিয়েছে লাল ফৌজ। অরুণাচলকে কবজা করতে কোনও ফন্দিই বাদ দিচ্ছে না শি জিনপিং সরকার।

Latest article