প্রতিবেদন : পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই ছোট্ট অনুরোধ প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি প্রকল্পের রূপ পেয়ে গেল। যে কোনও ইতিবাচক কাজে তাঁর উৎসাহ সুবিদিত। কোনও প্রস্তাব মনে ধরলে সিদ্ধান্তও নেন দ্রুত। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বেনজির সক্রিয়তা দেখল ঝাড়গ্রাম। তিনি ঘোষণা করে দিলেন, আদিবাসীদের জন্য পৃথক সংগীত আকাদেমি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। বুধবার ঝাড়গ্রামে আদিবাসী গুণিজনদের সংবর্ধিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-গ্যাস লিকে রাজ্য আক্রান্তদের পাশে
শিল্পকলার জন্য লাল শুভ্রা স্মৃতি পুরস্কার তুলে দেন ইতি মুর্মুকে। তুলে দেন এক লক্ষ টাকার চেক। ওই সময় ইতি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, এখানে যদি একটি সংগীত আকাদেমি করা হয়, উপকার হবে অনেকের। ইতির অনুরোধ মনে ধরে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক জয়সি দাশগুপ্ত এবং উপজাতি বিষয়ক দফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসারকে বলেন, এরকম একটা আকাদেমি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। জায়গা বেছে আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত কাজ শুরু করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রামে তৈরি হল অভিনব কাউ হস্টেল
স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে আপ্লুত ইতি। আপ্লুত আদিবাসী গুণিজন সমাজ। এদিন শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা সহ একাধিক বিষয়ে যেসব আদিবাসী স্বীকৃতি পেয়েছেন অথবা গবেষণামূলক কাজ করছেন তাঁদের হাতে সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরস্কারও তুলে দেন। আদিবাসী গুণিজন সমাজ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত। কারণ, বাস্তবটি হল, অতীতে এমন সম্মানের সঙ্গে আদিবাসী সমাজের গুণিজনদের কেউ সংবর্ধিত করেননি।