এই প্রথম বুকার পুরস্কার এল ভারতীয় ভাষায়

তিনি বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি কখনও বুকারের মতো সম্মানজনক পুরস্কার পাব। এটা যে কত বড় স্বীকৃতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Must read

প্রতিবেদন : ইতিহাস গড়লেন গীতাঞ্জলি শ্রী। এই প্রথম কোনও ভারতীয় ভাষায় গদ্য লিখে বুকার পেলেন কোনও সাহিত্যিক। গীতাঞ্জলি শ্রীর লেখা হিন্দি উপন্যাস ‘রেত সমাধি’। সেটির ইংরেজি অনুবাদ করে ডেইসি রকওয়েল। ইংরেজি উপন্যাসটির নাম ‘টুম্ব অফ স্যান্ড’। সেটিও জিতে নিল আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কার। অর্থাৎ, গীতাঞ্জলি ও ডেইসি যুগ্মভাবে পেলেন এই বছরের ম্যান বুকার। বুকার প্রাপ্তির খবর পেয়ে হতবাক গীতাঞ্জলি।

আরও পড়ুন-দোকান খোলা, ক্রেতা নেই, বিপিসিএল নিয়ে মুখ পুড়ল কেন্দ্রের

তিনি বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনি কখনও বুকারের মতো সম্মানজনক পুরস্কার পাব। এটা যে কত বড় স্বীকৃতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সম্মান পেয়ে আমি গর্বিত। গীতাঞ্জলির বয়স এখন ৬৪। কিন্তু তিনি মনে এখনও তরুণী। এখনও অকৃত্রিম জীবনমুখী। তাঁর কথায়, আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি, আমার এই উপন্যাস সেই জগতের এক চলমান শোকগাথা। কেউ হয়তো পড়তেনই না, বুকার এবার অনেকের কাছে এই আখ্যান নিয়ে যাবে। গীতাঞ্জলির রেত সমাধিকে লড়াই করতে হয়েছে আরও ১২টি উপন্যাসের সঙ্গে।

আরও পড়ুন-সেই আমলা লাদাখে

রেত সমাধি আদতে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার কাহিনি। ওই বৃদ্ধা স্বামীর মৃত্যুর পর গভীর অবসাদে ভোগেন। পরে তিনি সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠে পাকিস্তানে যেতে উদ্যোগী হন। দেশভাগের সময় পাকিস্তানেই ছেড়ে এসেছিলেন ভিটেমাটি। ফিরে যান সেই শিকড়ের সন্ধানে। গীতাঞ্জলির জন্ম উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে। বর্তমানে দিল্লির বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত তিনটি উপন্যাস লিখেছেন। লিখেছেন বহু ছোট গল্প। তার মধ্যে বহু গল্পই ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, সার্বিয়ান এবং কোরিয়ান ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

Latest article