প্রতিবেদন : ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রবল বিক্রমের মুখে এবার কি কিছুটা সুর নরম করছে হামাস? ইজরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে তারা যে শর্ত দিয়েছে তাতে এই ধারণাই জোরালো হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় গাজায় বাহিনী পাঠিয়ে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে জোরালো আক্রমণ শুরু করেছে নেতানিয়াহু সরকার। হামাসের বিরুদ্ধে এটি কার্যত যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়। শনিবার রাতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আক্রমণ এখন আরও ব্যাপক ও তীব্রতর হবে। ইজরায়েল যুদ্ধে জয়ী হবে। যে কোনও মূল্যে হামাসকে নির্মূল করতে ইজরায়েল বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন-অন্ধ্রে ২ ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ৬, দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষের তিন সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। গত ২১ দিনে উভয়পক্ষের নয় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর প্রথম ইজরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজা ভূখণ্ডের অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধ থামানোর চাপ বাড়ছে হামাসের উপর। কারণ তারাই এখন প্যালেস্টাইনের নিয়ন্ত্রক শক্তি। চাপের মুখে হামাসের বার্তা, ইজরায়েলি কারাগারে বন্দি প্যালেস্টিনীয়দের মুক্তি দিলে হামাসও পণবন্দি ইজরায়েলিদের ছেড়ে দেবে।
আরও পড়ুন-শ্রীলঙ্কার জলসীমানায় ৩৭ ভারতীয় জেলেকে আটক, বাজেয়াপ্ত নৌকা
হামাসের অন্যতম মুখপাত্র আবু ওবেদিয়া একটি টেলিভিশন সম্প্রচারে এই ঘোষণা করেছেন। ঘোষণায় বলা হয়েছে, শত্রুপক্ষের যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আমাদের হাতে বন্দি, তাঁদের মুক্তির জন্য মূল্য দিতে হবে ইজরায়েলকে। তাদের কারাগার খালি করতে হবে। ইজরায়েলের কারাগারে যত প্যালেস্টিনীয় বন্দি আছেন, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তবেই আমরাও ইজরায়েলি বন্দিদের ছেড়ে দেব। এর আগে হামাস বলেছিল, ইজরায়েল আক্রমণ না থামালে পণবন্দিদের ছাড়া হবে না। এখন সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে বন্দি প্যালেস্টিনীয়দের মুক্তির শর্ত দিল হামাস।