জয়চণ্ডী পাহাড়ে উৎসবের আমেজে পর্যটকের ঢল

সেটা যে সত্যি, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন উৎসবের সূচনাতেই। ১৮ বছর আগে তৎকালীন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে প্রথম মেলাটি হয়েছিল

Must read

সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: নববর্ষে যেন পর্যটকের সুনামি জয়চণ্ডী পাহাড়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল পুরুলিয়ার অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র জয়চণ্ডী পাহাড়ে পর্যটন উৎসব। পাঁচদিনের উৎসব শেষ হল সোমবার। আর সেদিনই পাহাড়ের পাদদেশে মেলার ময়দানে জনারণ্য দেখে খুশি আয়োজকেরা। এই উৎসব পরিচালন কমিটির সভাপতি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ঐতিহ্য মেনে উৎসব হয়েছে।

আরও পড়ুন-পর্যটনের নয়া দিশা বেঙ্গল সাফারি

এখানে রাজনৈতিক রঙ ছিল না। সেটা যে সত্যি, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছিলেন উৎসবের সূচনাতেই। ১৮ বছর আগে তৎকালীন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে প্রথম মেলাটি হয়েছিল। বাসুদেববাবু মারা গিয়েছেন সম্প্রতি। এবার মেলার উদ্বোধন মঞ্চে তাই তাঁর প্রতিকৃতি রাখা হয়েছিল। পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকলে। সৌমেন বলেন, তৃণমূল আমরা-ওরা করে না। আমরা যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান করি।
শহর রঘুনাথপুরের একেবারে গা-ঘেঁষে জয়চণ্ডী পাহাড়। এখানে তিনটি শৃঙ্গ আছে। মাঝের পাহাড়ের মাথায় আছে মন্দির। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্দেশক সত্যজিৎ রায় ‘হীরকরাজার দেশে’ ছবির শুটিং করেছিলেন এখানে। তাঁর স্মৃতিতে মেলাপ্রাঙ্গণে একটি মঞ্চ গড়া হয়েছিল। সেই মঞ্চেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি হয়।

আরও পড়ুন-নিশীথের এলাকায় সন্ত্রা.সের প্রতি.বাদ, ঝাঁ.টা হাতে গ.র্জে উঠলেন মহিলারা

রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউড়ি বলেন, জয়চণ্ডী পাহাড় পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণের অন্যতম সেরা ক্ষেত্র। মুখ্যমন্ত্রী এখানে যুব আবাস করে দিয়েছেন। গড়ে উঠেছে অতিথি আবাসও। পাহাড়ের টানেই মানুষ আসতেন। এখন উৎসব হওয়ায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে পর্যটনে।

Latest article