প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের আগে আবার সুপরিকল্পিত এবং বড়মাপের ভাঁওতা মোদি সরকারের। বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা, হতাশ চাকরিজীবী, মধ্যবিত্তরা। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে মন্তব্য করেছেন, সম্পূর্ণ অন্তঃসারশূন্য বাজেট। সমস্ত দিক দিয়ে নিজেদের অক্ষমতাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের সাধারণ মানুষের, দরিদ্র জনসাধারণের কোনও উপকার হবে না এই বাজেটে। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, বিজেপির ইলেকশন ম্যানিফেস্টো এই বাজেট। লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সম্পূর্ণ দিশাহীন এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করেনি বিজেপি শাসিত কেন্দ্র। সাংসদ মালা রায় মনে করেন, নির্বাচনে জেতার জন্যই মহিলাদের কথা বলা হয়েছে বাজেটে।
আরও পড়ুন-বাঘের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণরক্ষা
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট যে আসলে একটা মস্ত ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় তা স্পষ্ট করে দিয়ে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, অন্তঃসারশূন্য বাজেট। কথার জাগলারি, ভাষার সস্তা চটক। সাধারণ মানুষের স্বস্তি নেই, প্রাপ্তিও নেই। বাংলার প্রতি বঞ্চনা অব্যাহত। কথা না রাখা ভাঁওতাবাজির বাজেট। শুধু তিন মাসের ব্যয়বরাদ্দ অনুমোদনের কাজ করতে গিয়ে তার বাইরের অবাস্তব নাটকের চিত্রনাট্য অর্থমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন-আজ ধরনা, কাল সমাবেশ, ৬-এ দিল্লি
সাধারণ মানুষকে যেটা সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে, দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ অন্তর্বর্তী বাজেটে বাড়ল না আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আয়কর ছাড়ের ৭ লক্ষ টাকার যে ঊর্ধ্বসীমা ছিল, তা-ই অপরিবর্তিত থাকল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেও। লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের থেকে যে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষ করেছিল, কার্যত তা পূরণ করতেও ব্যর্থ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কার্যত এই বাজেট কেন্দ্রের গেরুয়া সরকারের দেউলিয়া অবস্থাকেই প্রতিফলিত করছে। লক্ষণীয়, আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা না বাড়ালে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সঞ্চয় কোনওটিই বাড়বে না। সেক্ষেত্রে সামগ্রিক দেশের অর্থনীতি আবারও মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা। সবমিলিয়ে দেশের আর্থিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে আরও উৎসাহিত করল এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট।