প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে অবশ্যই। ওমিক্রনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ প্রতিরোধে সেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপই করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই ৬ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য। কোভিড-সুরক্ষায় এবার নতুন করে গাইডলাইন দিয়েছে আইসিএমআর। জারি করেছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আরটিপিসিআর টেস্ট। পাশাপাশি শনিবারই স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। কেন্দ্রের গাইডলাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোভিড প্রতিরোধে ৬ দফা কৌশল স্থির হয় বৈঠকে। জারি হয় নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন-‘পটমঞ্জরী’ নিছক উপন্যাস নয়
কোভিড নিয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে— ১) তরল অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখবে রাজ্য। ২) অক্সিজেন তৈরির প্ল্যান্টগুলিকে দেখভাল করে সক্রিয় রাখার পাশাপাশি দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) প্রতিটি জেলায় জেলায় গাইডলাইন মেনে আরটিপিসিআর এবং অ্যান্টিজেন টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। ৪) চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৫) হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত বেড এবং প্রয়োজনীয় কোভিড সামগ্রী আছে কি না তার জন্য ড্রাই রান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নয়া গাইডলাইনে। ৬) নতুন ভাইরাসের হদিশ পাওয়া মাত্রই জিনোম সিকোয়েন্সের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে। ৭) কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যে প্রিকশন ডোজ দেওয়ার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামকে ধন্যবাদ জানিয়ে গণমিছিল
দেশে এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়নি। তবে পরিস্থিতি যদি দ্রুত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সব ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
ওমিক্রনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ প্রতিরোধে এবারে ৬ দফা কৌশল নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিরোধের রূপরেখা স্থির করতে শনিবার সকালে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। স্থির হয়, ৬টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজ্য।
আরও পড়ুন-এখনও কেন ঔপনিবেশিক পোশাক?
কী কী বিষয়? ১) বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে। বিএফ-৭ হানা দিয়েছে কি না নিশ্চিত হতে একটি সরকারি এবং ৩টি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে হবে। ২) প্রতি জেলায় সরকারি হাসপাতালে কোভিড ইউনিট কার্যকর করতে হবে। বেলেঘাটা আইডি এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালেও এই ইউনিট কার্যকর করা হবে। ৩) সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে এবং এমার্জেন্সিতে সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস উপসর্গের রোগীদের কোভিড টেস্ট করতে হবে। ৪) আরটি-পিসিআর, অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিকাঠামো ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। কিনতে হবে একলক্ষ কিট। ৫) কোভিড হাসপাতালের ভেন্টিলেটরগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে। ৬) স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলির। সবমিলিয়ে কোভিড প্রতিরোধে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর।