সিএএ হলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা জলাঞ্জলি যাবে, সাফ কথা অমর্ত্যর

লোকসভা ভোটের ঠিক আগে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

Must read

প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের ঠিক আগে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। বিজেপি সরকারকে ধুইয়ে দিয়ে বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদের সাফ বক্তব্য, সিএএ আসলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে জলাঞ্জলি দেওয়ার অস্ত্র। দেশে সিএএ কার্যকর হলে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান ধুলোয় মিশে যাবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বর্ষীয়ান অধ্যাপক বিভিন্ন সময় বিজেপি সরকারের নীতিগত ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। এবারও সিএএ লাগু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চরম নির্বুদ্ধিতা ও পরিকল্পনাহীন অবাস্তব দিবাস্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।

আরও পড়ুন-বন্ধ করব বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের গুন্ডারাজ

সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশজুড়ে সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) লাগু করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নোবেলজয়ী জানিয়েছেন, সিএএ আসলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শিকড় এবং বহুসাংস্কৃতিক প্রকৃতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং এই দেশের সংবিধানও ধর্মনিরপেক্ষ। তবে শুধুমাত্র দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের একত্রিত করার লক্ষ্য নিয়ে সিএএ লাগু করলে তা হিন্দুদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। কিন্তু এমনটা হলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শিকড় ও বহুসাংস্কৃতিক প্রকৃতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। ধুলোয় মিশে যাবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা।
বিজেপি সরকারের দেশ পরিচালনার একপেশে নীতি নিয়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের আরও সংযোজন, ভারতের শাসকদল শুধুমাত্র দেশের গুটিকয়েক ধনকুবেরদের কথাই শোনে। তাঁদের কথাকেই গুরুত্ব দেয়। ফলে অশিক্ষার চরম অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে এই দেশ। ন্যূনতম চিকিৎসাটুকুও পায় না যাঁরা, লিঙ্গ বৈষম্যে যাঁরা জর্জরিত, সেই গরিবদেরই পাত্তা দেয় না কেন্দ্রের শাসকগোষ্ঠী। ফলে তাঁদের জন্য কোনও উন্নয়নমূলক কাজও হয় না।

Latest article