বাচ্চারা পারলে বিচারপতিরা পারবেন না কেন?

শুক্রবার একটি মামলার শুনানির সওয়াল করতে আদালতে উপস্থিত হন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল তথা আইনজীবী মুকুল রোহতাগি।

Must read

নয়াদিল্লি : বাচ্চারা যদি সকাল ৭টায় স্কুলে যেতে পারে তাহলে বিচারপতি এবং আইনজীবীরা কেন সকাল ৯টার মধ্যে আদালতে আসতে পারবেন না? শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের আগে আদালতের কাজ শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এই মন্তব্য করেন। সাধারণভাবে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। শেষ হয় বিকেল ৪টের সময়। তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুনানি শুরু হয় বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্রভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে। বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত বলেন, যদি বাচ্চারা সকাল ৭টায় স্কুলে যেতে পারে, তাহলে আদালতে কেন ৯টায় হাজির হওয়া যাবে না?

আরও পড়ুন-প্রকাশ্যেই চলল গুলি, যোগীরাজ্যে সুরক্ষিত নয় সাংবাদিকরাও

শুক্রবার একটি মামলার শুনানির সওয়াল করতে আদালতে উপস্থিত হন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল তথা আইনজীবী মুকুল রোহতাগি। তিনি বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, এই সময় কাজ শুরু করা অনেক ভাল। বিচারপতি উদয় ইউ ললিত বলেন, ‘‘যদি বাচ্চারা সকাল ৭টায় স্কুলে পৌঁছতে পারে, তাহলে বিচারপতি এবং আইনজীবীরা কেন সকাল ৯টায় আদালতে হাজির হতে পারবেন না?” মুকুল রোহতাগি বলেন, ‘‘আদালতের কাজ শুরু করার পক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা অনেক ভাল সময়।” স্কুল পড়ুয়াদের উদাহরণ তুলে ধরে বিচারপতি ললিত বলেন, ‘‘আমাদের সকাল ৯টায় কাজ শুরু করা উচিত।”

আরও পড়ুন-চাইছেন স্পিকার

বিচারপতি ললিতের আরও পরামর্শ, যখন দীর্ঘ শুনানি নেই, সেই দিনগুলিতে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুনানি হওয়া উচিত। তারপর এক ঘণ্টার বিরতির পর ২টোয় শেষ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে সন্ধ্যায় কাজ করার জন্য অনেক বেশি সময় পাওয়া যাবে।” সাধারণভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন সুপ্রিম কোর্টে কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজের বিরতি কাটিয়ে ৪টে পর্যন্ত কাজ হয়। প্রসঙ্গত, দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতির তালিকায় রয়েছেন বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত। অগাস্টে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার পর তিনিই হবেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

Latest article