রাতের অন্ধকারে ৪০ বছরের পুরনো স্কুলবাড়ির উপর চলল, অমানবিক রেলের বুলডোজার

এতদিন প্রয়োজন হয়নি তাই স্কুল চালাতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। এখন ওই জমিটি রেলের প্রয়োজন। তাই বলপ্রয়োগ করে জমি দখলমুক্ত করতে হল।

Must read

সংবাদদাতা, আসানসোল : রাতের অন্ধকারে বুলডোজার চালিয়ে স্কুলবাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দিল মোদি সরকারের অধীন ভারতীয় রেল। ফলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল ওই স্কুলের ছোট ছোট প্রায় ২৫০ পড়ুয়ার। শুধু তাই নয়, জিটি রোডস্থিত যোগীবাবা বিবেকানন্দ স্কুলের আলমারি, টেবিল-চেয়ার থেকে সমস্ত আসবাবপত্র, এমনকী বইপত্র ইত্যাদিও গায়ের জোরে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় রেলের নিযুক্ত উচ্ছেদকারীদের দল। রেলের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়, রেলের জমিতে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছিল ওই স্কুলটি।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অশালীন মন্তব্য বিজেপি কর্মীর

এতদিন প্রয়োজন হয়নি তাই স্কুল চালাতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। এখন ওই জমিটি রেলের প্রয়োজন। তাই বলপ্রয়োগ করে জমি দখলমুক্ত করতে হল। এদিকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলাকালীন এভাবে স্কুলঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেন, জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য কোনও বোর্ডের অনুমোদন পায়নি স্কুল। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করছিল স্থানীয় ছেলেমেয়েরা। রেলের কাছে অতীতে অসংখ্যবার আবেদন জানানো হয় জমিটি দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেওয়ার জন্য। এমনকী জমিটি কিনে নিতেও চাওয়া হয়। এই মর্মে বারবার আবেদন জানালেও রেল কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি।

আরও পড়ুন-মাওবাদী পোস্টারকাণ্ডে সাফল্য জেলা পুলিশের

রেলের এই অমানবিক আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে বুধবার বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু রেলের এই কাপুরুষোচিত আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, মোদি সরকার এখন পশ্চিমবঙ্গেও পেশিশক্তির রাজনীতি শুরু করেছে। রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো বুলডোজার চালিয়ে ধ্বংসলীলায় নেমেছে। এর পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে। এটা বিজেপি পরিচালিত রাজ্য নয় যে যা খুশি তাই করবে তারা। এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের পক্ষে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

Latest article