তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই শিল্প-কর্মসংস্থান লক্ষ্য করে নতুন করে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী স্কিল ট্রেনিং দিয়ে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, কারিগরি শিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি উৎকর্ষ প্রকল্পের অধীন জব ফেয়ারের কথা বলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এর মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৪-৫বছরে মধ্যে কর্মসংস্থানে দেশের মধ্যে একনম্বর হবে বাংলা।
আরও পড়ুন-জাতীয় সঙ্গীত থেকে ‘উৎকল-বঙ্গ’ বাদ প্রসঙ্গে যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণে বাংলা ১ নম্বরে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলায় বেকারত্বের সংখ্যা কমিয়েছে। “বাংলায় স্বপ্নের ভোর, স্বপ্নের প্রত্যয় নিয়ে আসবে বাংলায়।” তিনি বলেন, দেশে যখন বেকাত্ব ৪০ শতাংশ বেড়েছে, তখন বাংলায় ৪০ শতাংশ চাকরি বেড়েছে। ‘‘শিলিগুড়ির কর্মসূচিতে আমি থাকব। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহের ছেলেমেয়েদের অনলাইনে দেওয়া হবে।’’ এদিনের কর্মসূচি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৬ টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পর্যটনের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজ্য। তাতেও বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মত মমতার। ৮৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। পুজোর আগে সব জেলা মিলিয়ে পুজোর আগে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোট ৩০ হাজার জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-এবার খড়গপুরে ‘টাটা মেটালিক্স’-এর সম্প্রসারিত ইউনিটের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেউচা পাঁচামিতে একলক্ষ কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বাধা দিচ্ছে বিজেপি-সিপিএম। ইউক্রেনের যুদ্ধে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে তাঁদের ভবিষ্যৎ সুগম করেছেন বলেও জানান মমতা।