সংবাদদাতা, মালদহ : ‘মানুষের অধিকার নেই, খিদেয় ভুগছে ভারতের ২২ কোটি মানুষ, এটাই বিজেপির সাফল্য।’ শারদসম্মান অনুষ্ঠানে বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। মালদহ জেলার বামনগোলা, হবিবপুর, ওল্ড মালদহ ও ইংরেজবাজার গ্রামীণ ব্লকের চারটি বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন রাজ্যসভায় তৃণমূল মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।
আরও পড়ুন-হলদিয়া পুর দুর্নীতি, ধৃত বিজেপি নেতা
এদিন তিনি পাকুয়াহাটে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। সারা ভারতে মিডিয়া যেভাবে বিজেপির ভুয়ো গুণগান গাইছে, তাতেই মিডিয়াকে ‘মোদিয়া’ বলে কটাক্ষ করেন। বুদ্ধিজীবীদের ও বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বকে সিবিআই-ইডি জুজু দেখিয়ে দমন করার খেলায় নেমে পড়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনই অভিযোগে তিনি সরব হন। তৃণমূল কংগ্রেসকে তিনি পিপলস পার্টি অর্থাৎ জনগণের দল বলে সম্বোধন করেন। দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ ও বলিদানের উপর নির্ভর করে এগিয়ে চলছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন সুখেন্দু।
আরও পড়ুন-সিঙ্গুরে কংক্রিটে ঢাকা জমি চাষযোগ্য হয়েছে
এদিন তিনি বামনগোলা ব্লকের ১০৫টি ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে শারদসম্মান তুলে দেন। ২০০ জন আদি তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি, চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি, যুব সভাপতি চন্দনা সরকার, অমল কিস্কু, অশোক সরকার প্রমূখ। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সুখেন্দু। সুখেন্দুর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে রাজ্যের নায্য পাওনা না দিয়ে কেন্দ্র বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত করছে। বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, আমরা ভঙ্গ নয়, সঙ্গ চাই। একসঙ্গে বরাবর থেকেছি, আগামীদিনেও বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সার্বিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে। কোনও বিভাজনের রাজনীতি বাংলার মানুষ প্রশ্রয় দেবেন না।’