প্রতিবেদন : আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা রাজ্য জুড়ে। প্রতিদিনই উত্তরপ্রদেশের কোনও না কোনও এলাকায় খুন, ধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনা এখন জলভাত। প্রশাসনিক অপদার্থতা ও নানা সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে এবং নিজের সরকারের ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে নামবদলের খেলা খেলছেন যোগী। উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে বসার পর যোগী ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গার নাম বদলে ফেলেছেন। এবার সেই তালিকায় নবাব নগরী লখনউয়ের নাম জোড়ার উদ্যোগ বিজেপি সরকারের।
আরও পড়ুন-ভূস্বর্গে হিংসা : দায়ী কাশ্মীর ফাইলস, তোপ মেহবুবার
যথারীতি সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বিজেপি নেতারা বহুদিন ধরেই লখনউকে লক্ষ্মণপুর বা লক্ষ্মণপুরী বলে চিহ্নিত করেন। কিন্তু সোমবার রাতে যোগীর করা একটি ট্যুইটে লখনউয়ের নাম বদলে সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়েছে। একদিনের নেপাল সফর শেষে সোমবার রাতেই লখনউ হয়ে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সময় প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। নেপাল থেকে ফেরার সময় লখনউ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন যোগী। সেই মুহূর্তের একটি ছবি ট্যুইট করেন যোগী। ছবির ক্যাপশনে যোগী লেখেন, ‘শেষাবতার ভগবান লক্ষ্মণ কী পবন নগরী মে আপকো স্বাগত আউর হার্দিক অভিনন্দন’।
আরও পড়ুন-ট্রেন যেন খেলনাগাড়ি
যোগীর এই ট্যুইট নিয়েই তুমুল চর্চা শুরু। অনেকেই মনে করছেন, এবার রাজধানী লখনউয়ের নামবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর আগে যোগী এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ, ফৈজাবাদের নাম বদল করে অযোধ্যা, মোগলসরাই স্টেশনের নাম বদল করে দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন করেছেন। ইতিমধ্যেই লখনউ শহরে একটি বড় মাপের লক্ষ্মণ মন্দির তৈরির কাজ চলছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এই মুহূর্তে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত উত্তরপ্রদেশ। সেসব থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই নাম বদলের খেলা বিজেপি সরকারের।