আমেদাবাদ, ২০ নভেম্বর : স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা। নাকি তীরে এসে তরী ডোবার হতাশা! কীভাবে বিশ্বকাপ ফাইনালের হারকে ব্যাখ্যা করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। রবিবাসরীয় হারের পর, আক্ষরিক অর্থেই ভাঙাহাটের চেহারা নিয়েছে ভারতীয় শিবির।
আরও পড়ুন-মঙ্গলবার থেকে বিশ্ব-বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, নিউটাউন চত্বরে কড়া নিরাপত্তা
বিশ্বকাপ শেষ হতেো না হতেই সামনে ফের অস্ট্রেলিয়া। এবার টি ২০। যা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অধিকাংশ ক্রিকেটারকে ওই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরা, কে এল রাহুলের মতো তারকারা। যাঁরা স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বুকে চেপে এবার বাড়ি ফেরার পালা তাঁদের। আপাতত কয়েকটা দিন বিশ্রাম।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাশীর আদলে হতে চলেছে দেব দীপাবলি উৎসব
এরই ফাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের হতাশা উজাড় করে দিচ্ছেন একের পর এক ভারতীয় ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মহমম্দ শামি যেমন লিখেছেন, ‘‘এই যন্ত্রণা হজম করা কঠিন। বিশ্বকাপ ফাইনালের হার আমাদের গোটা দলকে কষ্ট দিচ্ছে। তবে আমাদের মাথা কিন্তু উঁচু থাকছে।’’ ইনস্টাগ্রামে শুভমন গিল পোস্ট করেছেন, ‘‘১৬ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু হারের ক্ষত এখনও টাটকা। আমরা নিজেদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এই সফরের প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা নিজেদের একতা এবং সংকল্পের প্রমাণ দিয়েছি। ফ্যানদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এটাই শেষ নয়। বরং যতদিন না লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছি, লড়াই চলবে।’’
আরও পড়ুন-বিকৃত মানসিকতা, কবর থেকে শিশুর দেহ তুলে যৌন হেনস্থা যোগীরাজ্যে
এদিকে, ফাইনালে হারের পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কেমন ছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। লক্ষ্যের এতটা কাছে পৌঁছেও ব্যর্থ, মেনে নিতে পারেননি রোহিতরা। মহম্মদ সিরাজ তো মাঠেই কেঁদে ফেলেন। চোখ ছলছল করছিল রোহিত-বিরাটদের মতো পোড়খাওয়া তারকাদেরও। দ্রাবিড় জানিয়েছেন, ড্রেসিংরুমে পৌঁছনোর পরেও অনেকক্ষণ ক্রিকেটারদের মুখে কোনও কথা ছিল না। নিস্তব্ধ ড্রেসিংরুমে তখন পিন পড়লেও শব্দ শোনা যাবে এমন অবস্থা। দ্রাবিড়ের বক্তব্য, ‘‘দমবন্ধ করা পরিবেশ। রোহিতকে দেখে ভীষণ হতাশ লাগছিল। বাকিরাও চুপচাপ বসেছিল। প্রত্যেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল।’’
আরও পড়ুন-চেয়েছিলাম কাপ হাতে নিক দ্রাবিড়
টিম ইন্ডিয়ার কোচ আরও যোগ করেছেন, ‘‘কোচ হিসাবে এমন একটা ড্রেসিংরুম দেখা খুব কঠিন। ওদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। এই ট্রফিটা জেতার জন্য গত দেড় বছরে ছেলেরা প্রচুর পরিশ্রম করেছে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। প্রচুর ত্যাগস্বীকার করেছে। তাই কেউই হার মেনে নিতে পারেনি। কারণ এই দলটা শেষ এক মাসে কী ক্রিকেট খেলেছে, সেটা সবাই দেখেছে।’’ দ্রাবিড় জানাচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার জন্য তিনি সবাইকে উদ্দীপ্ত করেন।